শিরোনাম: |
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি :
যার দৃষ্টি নাই তার কাছে সবই অন্ধকার। পৃথিবীর কোন আলো কোন উচ্ছাস সকল আনন্দ উপভোগ করার ইচ্ছা থাকলেও মনের সঙ্গ থাকেনা। এ এক অব্যক্ত যন্ত্রনা, যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রয়েছে অসংখ্য বিষাক্ত ফনা। তা কতদিন সইতে পারে ? সব সামাল দিয়ে সব দুঃখ গাথা চাপা দিয়ে নিভৃত পল্লীতে বছরের পর বছর শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন গৌরনদীর দৃষ্টিহীন ইংরেজী শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান এ্যাপোলো। তিনি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার প্রত্যন্ত লক্ষনকাঠী গ্রামের প্রয়াত শিক্ষক মোঃএন্তাজউদ্দিন মিয়ার ছোট ছেলে। ৩ ভাই ৩ বোনের সংসারে সবার ছোট তিনি। ব্যক্তি জীবনে দুটি কন্যা সন্তানের জনক। এই দৃষ্টিহীন শিক্ষকের অসাধারন প্রতিভা মুগ্ধ করেছে স্বজন,সহকর্মী,ছাত্র,ছাত্রী এবং এলাকাবাসীর। আমাদের দেশে দৃষ্টিহীনদের ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়ালেখা করে মনের আলো জাগিয়ে তোলার অপ্রতুল ব্যবস্থা থাকলেও সে আলোয় আলোকিত হননি এই প্রতিভাবান। ছয়মাস বয়সে টাইফয়েড জ—রে চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন। প্রথমে বাবা পড়তেন তা শুনে পড়া রপ্ত করতেন। বাবা হƒদরোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসক কথা বলতে নিষেধ করেন। এরপর অন্যেরপড়া এবং ক্যাসেট প্লেয়ারে শুনে তা রপ্তকরে শিক্ষা গ্রহন করেছেন। ২০০৫ সালে গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম লক্ষনকাঠী দারুছছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষাগতার মহান এ পেশায় যোগদান করেন। নিজগ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাটাজোড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়,সরকারী গৌরনদী কলেজ এবং বরিশাল বি.এম কলেজ থেকে মাষ্টার্স করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। ছাত্রহিসেবেও মেধাবী ছিলেন।