প্রকাশ: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৫৮ PM
নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলে নবনির্মিত নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভবনে সংঘবদ্ধ চুরি ও ভাংচুরের মত ঘটনা ঘটেছে। আর স্থানীরা বলছেন উদ্দেশ্য প্রণীত। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চল আলোকবালি ইউনিয়নের চরমাধবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদী বেষ্টিত চরমাধবপুর মৌজায় বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলিতেছে। শুক্রবার বেলা আনুমানিক ৩টার দিকে ৫ থেকে ৬ জনের সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্র ভবনের সৌন্দর্য বর্ধনের কাঁচ ভাংচুর করে ভিতর রক্ষিত বিভিন্ন ধরনের মালামাল যাহা আনুমানিক প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মত চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট উদ্দেশ্য প্রণীত। শুক্রবার দিন মুরাদনগর গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে অহিদুল, কাশেম মিয়ার ছেলে আয়নুল, তারাচাঁন মিয়ার ছেলে আল আমিন সালাম মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া, আজি মিয়ার ছেলে দিপু, নুরু মিয়ার ছেলে হিমেল সহ কয়েকজন মিলে এ ঘটনা ঘটায়। এরা সবাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আসাদ উল্লার দলের লোক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা এডভোকেট আসাদের হুকুমে মুরাদনগর সহ আলোকবালি ইউনিয়নে বিভিন্ন সময়ে নানান অপকর্ম করে বেড়াতো। এধরণের ঘটনার মূল উদ্দেশ্যই হলো প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা।কেয়ারটেকার জজ মিয়া বলেন, আমি এই নির্মাণধীন ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে দেখবাল করে আসছি। শুক্রবার দিন ওই ৬ জন মিলে ভবনের সৌন্দর্য বর্ধনের কাঁচ, দরজা-জানালা ভাংচুর সহ ভিতরে রক্ষিত প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে আমি এসব ঘটনা দেখে থানায় ৬জনের নামে অভিযোগ করি। এসব কাজ করার উদ্দেশ্য হলো তাদের প্রতিপক্ষ লোকজনকে ফাঁসানো। এবিষয় জানতে এডভোকেট আসাদ উল্লা বলেন, যে ৬ জনের নামে অভিযোগ দাওয়া হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই আমার আত্মীয় স্বজন। তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সাথে জড়িত। দুই/একজন বাদে বাকিরা ৫ আগস্টের পর থেকে বাড়ি ছাড়া।ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক প্রতিনিধিকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আমরা একজনকে আটক করেছি।