প্রকাশ: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৫৭ PM
জেলার কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে নির্মাণাধীন সরকারি একটি কালভার্ট ভেঙে ফেলার অভিযোগে দু'জনকে আটক করেছে পুলিশ। মামলার ভিত্তিতে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক জালাল মিয়া ও হায়দর মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব কামারকান্দি এলাকার মরম মিয়ার বাড়ির সামন দিয়ে দক্ষিণমুখী দীর্ঘদিনের পুরাতন রাস্তার খালের উপর একটি কালভার্ট নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় লোকজন। মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মোঃ নুর মিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চাহিদা পত্র প্রদান করেন।
গত দু’মাস আগে ওই স্থানে কালভার্ট নির্মাণের জন্য জাইকা প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষদ থেকে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এলাকার লোকজনের পরামর্শ মোতাবেক কাজ শুরু করেন ওয়ার্ড সদস্য নুর মিয়া। গত বৃহস্পতিবার কালভার্টের উপর ঢালাই দিয়ে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বুধবার দুপুরে পূর্ব কামারকান্দি এলাকার জালাল মিয়া ও হায়দর মিয়ার নেতৃত্বে ১০-১২ জন নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে নির্মাণাধীন কালভার্টের দুই পাশের দেওয়াল ভেঙে ফেলেন। এসময় স্থানীয় লোকজন বাধা দিতে আসলে তাদেরকে হুমকিধামকি দেন জালাল গংরা। স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মোঃ নুর মিয়া জানান, একটি কালভার্টের অভাবে দীর্ঘদিন থেকে এই রাস্তায় চলাচলে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। হায়দর মিয়ার পরিবারসহ এলাকার সকলেরই মতামত নিয়ে পাহাড়ি খালের উপর কালভার্ট নির্মাণ শুরু হয়। কাজ শেষ পর্যায়ে এসে ঢালাই দেওয়ার সময় হায়দর গংরা বাধা দেন এবং তাদের লোকজন নিয়ে নির্মাণকৃত কালভার্টটি ভেঙে চুরমার করে ফেলেন।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মোঃ নুর মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা (নং-৩৪, তারিখ-২৪/০৪/২৫) দায়ের করেন। হায়দর মিয়ার বোন জামাই মোস্তাকিম মিয়া জানান, যেখানে কালভার্ট নির্মাণ হচ্ছে সেটি তাদের মৌরসি সম্পত্তি। এখানে চলাচলের রেকর্ডিয় কোন রাস্তা নেই। মেম্বারকে নিষেধ দেওয়ার পরেও তিনি সুবিধাভোগী কয়েকজনকে নিয়ে কালভার্ট নির্মাণ করেছেন। তাই তারা সেটি ভেঙে ফেলেছেন। এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার এসআই (মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা) মো: ফাইজুল ইসলাম জানান, সরকারি কালভার্ট ভাঙা ও হুমকি-ধামকির অভিযোগে জালাল মিয়া ও হায়দর মিয়া নামের দু'জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরও আটকে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।