প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৫১ PM
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার মধ্যেই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর অদূরে গাড়ি বোমা হামলায় সেনাবাহিনীর শীর্ষ জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মস্কালিক নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মেইন অপারেশনস ডিরেক্টোরেটের ডেপুটি প্রধান ছিলেন তিনি।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) মস্কোর পূর্বে বালাশিখা শহরে এই বোমা হামলা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোয় পৌঁছেছেন, তখন এই গাড়িবোমা হামলার ঘটনা ঘটল। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কে বা কোন গোষ্ঠী এই হামলার পেছনে রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রুশ গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পার্ক করা একটি গাড়িতে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা মস্কালিক সেখানে হেঁটে যাওয়ার সময় দূর থেকে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকারীরা। ইজভেস্তিয়া পত্রিকা প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের বাইরে পার্ক করা গাড়ির পাশ দিয়ে এক ব্যক্তি হেঁটে যাচ্ছেন। এরপরই বিস্ফোরণে গাড়ির টুকরো কয়েক মিটার উঁচুতে উঠে যায়। এই হামলায় আরও একজন নিহত হয়েছেন।
মেজর জেনারেল মস্কালিক রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য ছিলেন। ২০১৫ সালের অক্টোবরে জার্মানি, রাশিয়া, ইউক্রেন ও ফ্রান্সের নর্ম্যান্ডি ফরম্যাট বৈঠকে তিনি রাশিয়ান প্রতিনিধিদলের সদস্য ছিলেন। ওই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল ২০১৪ সালে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে মিনস্ক চুক্তি বাস্তবায়ন তদারকি করা। ক্রেমলিনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের পাশাপাশি মস্কালিক সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের পক্ষে ওই আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন।
গত ডিসেম্বরে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ একটি ইলেকট্রিক স্কুটারে বোমা লাগিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কিরিলভকে হত্যা করেছিল। কিরিলভকে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য দায়ী করা হয়েছিল। মস্কালিকের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এসবিইউ এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ রাশিয়ান সামরিক কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। মস্কো এসব হামলার জন্য কিয়েভকে দায়ী করে আসছে।