প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:০৯ PM
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানিদের বহিষ্কার ও সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি বাতিলে দিল্লির সিদ্ধান্তের কড়া জবাব দিলো ইসলামাবাদ। ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশে প্রবেশে নিষধাজ্ঞা দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা স্থগিত ও বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণাসহ বেশকিছু সিদ্ধান্তও নিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কার্যালয় থেকে ‘কঠোর ভাষায়’ পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তারা ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে। পানি বন্ধ বা অন্যদিকে প্রবাহিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা ‘যুদ্ধের উসকানি' হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জাতীয় ক্ষমতার পূর্ণ শক্তি দিয়ে এর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, একইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াগাহ সীমান্ত বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ‘বিনা ভিসা প্রকল্পের’ আওতায় দেওয়া সব ভিসা স্থগিত করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে কূটনীতিকদের সংখ্যা ৩০ জনে কমিয়ে আনতে এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ৩০ এপ্রিলের আগে পাকিস্তান ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।
ভারতীয় মালিকানাধীন বা ভারতীয়দের দ্বারা পরিচালিত বিমান সংস্থাগুলোর জন্য আকাশসীমাও বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করা হয়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় বদলার আগুনে ফুঁসছে নয়াদিল্লি। ধীরে ধীরে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে ভারত। অন্য দিকে যুদ্ধের আশঙ্কায় পাল্টা প্রস্তুতি চালাচ্ছে ইসলামাবাদ। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সীমান্ত লাগোয়া ঘাঁটিগুলিতে সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন পাকিস্তান। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ইসলামাবাদের সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ মিলেছে বিমান ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটরাডার২৪’-এর স্ক্রিনশট থেকে। করাচি বিমানঘাঁটি থেকে একের পর এক বিমান লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির কাছে মোতায়েন করেছে ইসলামাবাদ।
বিমানঘাঁটির পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (লাইন অফ কন্ট্রোল বা এলওসি) উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। সেখানকার বাঙ্কারগুলিতেও সেনাসংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের দাবি, ভারতের সঙ্গে সম্মুখসমরে যেতে যে ইসালামাবাদ প্রস্তুত, এই সব পদক্ষেপেই রয়েছে তার ইঙ্গিত