প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৩১ PM
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) পূর্ণ সদস্যদের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ড বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দল গঠনের পথে এগোচ্ছে। সেই পথিকৃত হচ্ছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ট্রু নর্থ স্পোর্টস ভেঞ্চার্স (টিএনএস) এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২০২৭ সালে মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) নতুন একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি আনছে এনজেডসি। এ লক্ষ্যে টিএনএস-এ বিনিয়োগকারী হিসেবে যুক্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট, ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে শেয়ার নেওয়ার কথাও ভাবছে তারা। ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে শুধু অর্থ লগ্নিই নয়, উচ্চমানের কোচিং ও টিম ম্যানেজমেন্ট সাপোর্টও দেবে এনজেডসি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে নতুন দলের নাম ও বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে। দলটি যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার বড় শহর যেমন আটলান্টা কিংবা টরন্টো ভিত্তিক হতে পারে বলে জানা গেছে।
২০২৪ সালের আসর থেকেই ‘লিস্ট এ’ মর্যাদা পেয়েছে এমএলসি। প্রতি বছর জুন-জুলাইয়ে আয়োজিত এই টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নিচ্ছেন প্যাট কামিন্স, স্টিভ স্মিথ, ট্রেন্ট বোল্ট, ডেভিড মিলার, ম্যাট হেনরি ও রাচিন রবীন্দ্রর মতো আন্তর্জাতিক তারকারা। বর্তমানে এমএলসিতে ৬টি দল খেললেও ২০২৭ সালে এটি ৮-এ পৌঁছাবে এবং ২০৩১ সাল নাগাদ ১০ দলে উন্নীত হবে। ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী এনজেডসি প্রধান নির্বাহী স্কট উইনিঙ্ক। তিনি বলেন, “এই চুক্তি এনজেডসির জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বাড়ছে, আমাদেরও নিজেদের খাপ খাওয়াতে হবে। এতে আমাদের ব্র্যান্ড, আয় ও খেলোয়াড়দের বিকাশ, সবই লাভবান হবে।”
ক্রিকবাজকে উইনিঙ্ক বলেন, “এনজেডসি তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে এমএলসি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। তবে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এই উচ্চমানের পারফরম্যান্স সেবা দেওয়ার জন্য আমরা পারিশ্রমিক পাবো এবং এমএলসি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে অংশীদার হতে পারবো। আমরা এই ফ্র্যাঞ্চাইজির শেয়ার কিনে অংশীদার হওয়ার সুযোগও পাচ্ছি। এর মানে, ভবিষ্যতে যখন এমএলসি আর্থিকভাবে লাভজনক হবে, তখন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের এই প্রবৃদ্ধি থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে আমাদের জন্য। এটা আমাদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়, কারণ এতে করে আমাদের আয় বাড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেই বাড়তি আয় আমরা আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট, কমিউনিটি ক্রিকেট, গঠনমূলক ক্রিকেট এবং উচ্চমানের পারফরম্যান্স ক্রিকেটে বিনিয়োগ করতে পারবো।”
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় মার্কিন মাটিতে খেলার প্রসার আরও বাড়বে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। টিএনএস জানিয়েছে, “উত্তর আমেরিকায় ক্রিকেটের সম্ভাবনা বিশাল। আমরা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি—শুধু এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নয়, আরও বড় কৌশলগত পরিকল্পনা সামনে রয়েছে।”