প্রকাশ: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৩১ PM
বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার হ্রাস পেলেও ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এখনও চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। অধ্যাপক ড এম মোস্তফা জামান, জনস্বাস্থ্যও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও তারদল, জাতীয় পর্যায়ের খানা জরিপ GATS এবং STEPS এর তথ্য বিশ্লেষণে করে দেখেছেন যে, ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তামাক ব্যবহারের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে, তবে বর্তমান গতিতে এগোলে ২০৩০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ৩০% কমানোর বৈশ্বিক লক্ষ্য পূরণ সম্ভব নয়।
প্রধান ফলাফল
২৫-৬৯ বছর বয়সী বাংলাদেশীদের তামা কব্যবহার (ধূমপান ও ধোঁয়া বিহীন) ২০০৯ সালে ৫৪% থেকে কমে ২০২২ সালে ৪৭% এ নেমেছে (১৩% আপেক্ষিক হ্রাস)।
ধূমপানের হার ২৭% থেকে ২২%এ (১৯% আপেক্ষিক হ্রাস)।
ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার ৩৬% থেকে ৩১% (১৪% আপেক্ষিক হ্রাস)।
লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে পুরুষদের মধ্যে তামাক ব্যবহারের হ্রাস নারীদের তুলনায় কিছুটা বেশি।
শহর ও গ্রামীণ এলাকায় তামাক ব্যবহার কমলেও শহুরে অঞ্চলে হ্রাসের হার বেশি স্পষ্ট।
তথ্য বিশ্লেষণ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এনসিডি (অসংক্রামক রোগ) প্রতিরোধ রোড ম্যাপ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহার ৩০% কমানোর লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বর্তমান নীতি মালার গতি দ্বিগুণ করতে হবে। ২০০৯-২০২২ সালের প্রবণতা বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমান হারে তামাক ব্যবহারক মলে ২০৩০ সালে হার দাঁড়াবে প্রায় ৪২%, যা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের চেয়ে বেশি।
সুপারিশ সমূহ
তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জোরদার করে বর্তমান হ্রাসের হারত্ব রান্বিত করতে হবে।
ব্যাবহারিক গবেষণা পরিচালনা করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নীতিও আইনের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে, যাতে অপর্যাপ্ত হ্রাসের কারণ চিহ্নিত করা যায়।
সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল ২০২২ সালে। অতএব, দ্রুত আরেকটি জরিপ করা প্রয়োজন, সম্ভব হলে২০২৫–২০২৬ সালের মধ্যে।
বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
জন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, "তামাক ব্যবহার হ্রাসে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়, তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আরও কঠোর নীতি ও সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।