প্রকাশ: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৫৭ PM
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চর বাংরাইল গ্রামে দূ-গ্রপের লাগারতার কাইজ্জা বন্ধে এক শালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার ১৮ই এপ্রিল বিকাল ৪টায় চর বাংরাইল ঈদগাহ (মাদ্রাসা) প্রাঙ্গণে এই বৈঠক হয়েছে। সালথার সোনাপুর ইউনিয়নের চর বাংরাইলের দু-গ্রুপের কাইজ্জা বন্ধে শালিসে মিমাংসা করা হয়। উল্লেখ্য গত ২৯ মার্চ এক অভিযোগ, দলে যোগ দিতে সম্মত না হওয়ায় প্রতিপক্ষের অর্ধশত মানুষ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় অন্তত ২০টি বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। এছাড়া কয়েক দিনে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে আরো অন্তত পাঁচজনকে আহত করা হয়।
তারা দাবী করেন, ওই বিএনপি নেতা জনৈক যুবলীগ নেতাকে দলে ভিড়িয়ে শক্তি বৃদ্ধি করে, সাধারণ মানুষ যারা কোনো ধরনের দলপক্ষ বা জনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাদের জোর পুর্বক নিজ পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছেন। মোঃ বাবু মজুমদার এর সভাপিত্বে মনির মোল্লা সাবেক চেয়ারম্যান সোনাপুর ইউপি এর সঞ্চালনায় শালিসি বৈঠকে এ সময় প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ছিদ্দিকুর রহমান তালুকদার সভাপতি সালথা পজেলা বিএনপি, মোঃ শাহিন মাতুব্বর-সহ সভাপতি সালথা উপজেলা শাখা বিএনপি। মোঃ আজাদুর রহমান আজাদ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক থানা বিএনপি,আছাদুজ্জামান আছাদ সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান সালথা উপজেলা। এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান লিটন- যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক যুবদল ফরিদপুর জেলা শাখা। মোঃ তৈয়াবুর রহমান যুগ্ন সাঃ সম্পাদক ফরিদপুর জেলা শাখা। মুহাম্মদ আজিজুল হক সভাপতি সোনাপুর ইউনিয়ন ইউপি বিএনপি। হাবিবুর রহমান হাবিব-সভাপতি মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি। মোঃ হুমায়ন খান সভাপতি যদুনন্দি ইউনিয়ন বিএনপি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন হাজী ডাঃ মোঃ কাওছার মাতুব্বর-ফুকরা, মোঃ রুহুল মাতুব্বর-ফুকরা,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন। মোঃ ইসরাইল মাতুঃ সাংগঠনিক সম্পাদক সেচ্চাসেবক দল সালথা উপজেলা শাখা বিএনপি। কালাম হোসেন সাবেক সভাপতি শ্রমিক দল সালথা উপজেলা শাখা। বালাম হোসেন যুবদল নেতা সালথা উপজেলা। মুহাম্মদ মানোয়ার হোসেন যুবদল নেতা সালথা উপজেলা শাখা ও বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গণ্যমান্য ব্যক্তিগর্গগণ। শালিসি শেষে দু-গ্রুপের বিরোধ মিটিয়ে ও হাতে হাত বুব বুক মিলিয়ে দেওয়া হয়। এবং একটি কমিটির মাধ্যমে উভয় পক্ষের ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নিরপণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এবং দৃ-পক্ষকে হুসিয়ারী প্রদান করা হয়, আবার তুমরা যদি উভয় এ ধরণের অপরাধ যোগ্য কাজে লিপ্ত হও তাহলে আমরা শালিসগন তুমাদের বিরুদ্ধে দাড়াবো।