প্রকাশ: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৫৩ PM
পাকিস্তানে চলমান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলায় নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে থাইল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে মূল পর্বের যাওয়ার জন্য সহজ পথ বানিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারের পর, শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের দেখা পেয়েছে টাইগ্রেস মেয়েরা। তাতে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কায় জ্যোতির দল।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করা টাইগ্রেসরা ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ পায়। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় পাকিস্তানের মেয়েরা। তাতে ৬ দলের বাছাইয়ে পাঁচ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপে পা রাখে ম্যান ইন গ্রিনের মেয়েরা। বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাছাই পর্ব শেষ করল। অপরদিকে ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারাতে পারলে বাংলাদেশের সমান পয়েন্টের মালিক হবে। সে ক্ষেত্রে রানরেটে এগিয়ে থাকা দল গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপে যাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলা এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করছে।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে পরে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি টাইগ্রেস মেয়েরা। ক্রিজে টিকে যান মুনীবা আলী এবং সিদরা আমিন। ৫২ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন সিদরা। অন্যদিকে মুনীবা দারুণ অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। ৯৩ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন মুনীবা।
তাতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় ম্যান ইন গ্রিনের মেয়েরা। ম্যাচের বাকিটা কাজটা সেরেছেন আলিয়া রিয়াজ এবং নাটালিয়া পারভেজ। দুজনের কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ৬২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় পাকিস্তানের মেয়েরা। এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় বাংলাদেশ তৃতীয় পরিবর্তন এনেছে। ওপেনিংয়ে ফারজানা হকের সঙ্গী হয়েছেন দিলারা আক্তার। তাতেও পরিবর্তন আসেনি। তৃতীয় ওভারে ফাতিমা সানার বলে আউট হন ফারজানা। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১০ রান। ৭ বল মোকাবেলা করলেও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
আরেক ওপেনার দিলারা ভালো শুরু করলেও টিকতে পারেননি। ১৪ বলে ১৩ রান করে সাদিয়া ইকবালের বলে বোল্ড হয়েছেন দিলারা। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১৯ রান। প্রথম তিন ম্যাচে রানের বন্যা বইয়ে দেয়া অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও ব্যর্থ হয়েছেন। দলীয় ২১ রানের সময় ফাতিমা সানার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। ৬ বলে ১ রান করেছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক। এরপর শারমিন আক্তার সুপ্তা ও রিতু মনির সাথে ৪৪ রানের জুটি গড়েন। সুপ্তা ২৪ রানে আউট হলে নাহিদা আক্তারের সাথে আরেকটি ৪৪ রানের জুটি গড়েন রিতু। ওই জুটিতে ১৯ রান করে বিদায় নেন নাহিদা। নাহিদার পর ফাহিমা খাতুনের সাথে ২৭ রানের আরেকটি জুটি গড়েন রিতু মনি।
দীর্ঘ সময় ক্রিজে থেকে ৭৬ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৮ করে আউট হন রিতু। রিতুর পর দলকে ধরে রাখেন ফাহিমা, শেষপর্যন্ত ক্রিজে থেকে ৫৩ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল।