প্রকাশ: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০১ PM
মৌলভীবাজারে নির্মমভাবে খুন হওয়া তরুণ আইনজীবী সুজন মিয়া হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছেন জেলা পুলিশ। এঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৫ জনকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ অন্য আসামিদের পরিচয় উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে তাঁদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।
এদিকে নজির মিয়া যে মুঠোফোনের মাধ্যমে মিসবাউরকে আইনজীবী সুজনের ছবি পাঠিয়েছিলেন, সেই মুঠোফোন উদ্ধার ও জব্দ করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি এখনো পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার বাসুদেবশ্রী এলাকার বাসিন্দা মূল পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া মুজিব (২৫), রঘুনন্ধনপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আরিফ মিয়া (২৭), দিশালোক এলাকার বাসিন্দ হোসাইন আহমদ সোহান (১৯), রাজনগর উপজেলার মাথিউরা চা বাগানের লক্ষণ নাইডু (২৩) ও নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার বাসিন্দা আব্দুর রহিম (১৯)।
হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে জানিয়ে এসপি বলেন, মূল পরিকল্পনাকারী মুজিব তার পাশের বাড়ির একটি ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহের সঙ্গে পূর্বশত্রুতা ছিল। তাকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভাড়াটিয়া খুনি নিয়োগ করে মুজিব। মুজিবের পূর্বপরিচিত লক্ষণের মাধ্যমে এসব খুনির সঙ্গে যোগাযোগ হয় এবং মুজিব মোবাইল ফোনে টার্গেটের (মিসবাহের) ছবি পাঠায়। ৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে আইনজীবী সুজন মিয়াকে মিসবাহ ভেবে ‘ভুল’ করে তাকে ভিডিও কলে দেখিয়ে নিশ্চিত করে খুনিরা। এ সময় মুজিব ফোনে নির্দেশ দেন, ছবির সঙ্গে মিল আছে তো, মারো! এরপরই চেয়ারে বসা অবস্থায় সুজন মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতিকারী। ঘটনায় ৮ এপ্রিল মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় নিহতের ভাই এনামুল হক সুমন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গেল বুধবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা, সদর মডেল থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি জাফর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।