প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩২ PM
লক্ষ্মীপুরে ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকরা।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে জেলা সিএনজি, অটোরিকশা, মিশুক মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকার আমলে সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকদের কাছ থেকে পুলিশের নামে মাসিক ও সাপ্তাহিক আহারে চাঁদাবাজী করা হয়েছে। গত বুধবার সকালে গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে হাসপাতাল যাওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশ সিএনজিকে আটক করে হয়রানি করে। পুলিশের এমন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের সাথে কয়েক জন শ্রমিকরে বাকবিতান্ডা হয়। তখন শ্রমিকদের ভেতরে একটি চক্র প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা করতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। অথচ এই ঘটনায় নিরীহ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রকৃত আসামিদের বের করতে হবে। এখন পর্যন্ত ১৬ জন শ্রমিক ও মালিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হামলার সাথে জড়িত নন।
তাই অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। এছাড়া গ্রেপ্তারের ভয়ে অন্য নিরপরাধ শ্রকিকরাও পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানান তারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, এডভোকে সাইফুল ইসলাম শাহীন, লক্ষ্মীপুর সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মনছুর আহমেদ, লক্ষ্মীপুর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম লিটন, সেক্রেটারী সৌরভ হোসেন ভুলু, আল ইমাম মামুন, শ্রমিক নেতা ফিরোজ মাহমুদ মিরজু ও জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে।
এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোন্নাফ বলেন, সড়কে ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাকালে সিএনজি চালকদের হামলায় তিন পুলিশসহ চার জন আহত হয়। এঘটনায় ওইদিন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১ জনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করে। এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলায় নিরীহ কোনো শ্রমিক যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর রয়েছে।