প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:৫৭ PM
গাজীপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণের অভিযোগে প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার ও এলাকাবাসী। জানা যায়- গত ১৩ জানুয়ারি জেলার কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ভাকোয়াদি স্কুল মাঠে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরণ করা হচ্ছিল। এসময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ স্মার্ট কার্ড আনতে গেলে সেখানে থাকা স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদল নেতাদের হামলার শিকার হন ফরিদ। এই ঘটনার ভিডিও ধারণের অভিযোগে এনামুল (৩০) কে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেন ছাত্রদল নেতা রবিন ও বকুলসহ তাদের সহযোগিরা। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান এনামুল।
এনামুল হক চাঁদপুর ইউনিয়নের তিলশুনিয়া গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত মালয়শিয়া প্রবাসী। গত ৩মাস আগে ছুটিতে আসেন দেশে। চলতি মাসে তার মালয়শিয়া চলে যাওয়ার কথা ছিলো। এনামুল হকের স্ত্রী ও ৬ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এনামুলের স্ত্রী নাজমীন আক্তার বৃষ্টি বলেন- গত সোমবার জাতীয় পরিচয় পত্রের খোঁজ নিতে ভাকোয়াদি স্কুল মাঠে যায় এনামুল। সেখানে একটি মারামারি হচ্ছিল এবং এনামুল পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মারামারির সময় সে ভিডিও করছিল এমন অভিযোগ এনে কয়েকজন তাকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আসেন। বুধবার তার অবস্থার অবনতি হলে, রাতে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে মৃত্যু হয় এনামুলের। এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামাল হোসেন বলেন- লাশের সূরত হল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে মারা যাওয়া এনামুলের খোয়া যাওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করতে পেরেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। ঘটনার তদন্তকারি এসআই আশরাফুল আলম মুঠোফোনে জানান- কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তিলশুনিয়া গ্রামের মৃত আমজাদ মেম্বারের ছেলে আশরাফুলের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রবাসী এনামুলকে মারপিট একটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে স্থানীয়রা জানান। তারা এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছেন।