প্রকাশ: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:২৫ PM
২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা ও যে-সকল সাধারণ বিডিআর সদস্যদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং বিচারে খালাস পেয়েছে তাদের মুক্তিসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ শেরপুর জেলা এর আয়োজনে আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার শেরপুর শহরের থানার মোরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দেশবাসীর প্রতি তাদের দাবির প্রতি সমর্থন ও একাত্মতা প্রকাশ করে দাবি আদায়ে সহায়তার জন্য উদাত্ত আহ্বান সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। তিন দফা দাবিতে বলা হয়েছে –
১। বিদ্রোহে নির্মম হত্যাকাণ্ডে পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা ও যে-সকল সাধারণ বিডিআর সদস্যদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং বিচারে খালাস পেয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে।
২। ১৮ টি স্পেশাল কোর্টের মাধ্যমে অন্যান্যভাবে গ্রেফতার ও চাকুরীচ্চুতদের সকল সরকারি সকল সুযোগ সুবিধাসহ চাকুরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
৩। ভদন্ত কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং নির্ভয়ে কাজ কমার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ২ এর (ঙ) বারা অবশ্যই বাদ দিতে হবে।
এসময় বক্তব্য রাখেন “বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ শেরপুর জেলার সভাপতি সিপাহি হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি সিপাহি রফিকুল ইসলাম, সিপাহি নাসরুল, সিপাহি সোহেল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর, এদেশেরই সন্তান। এ দেশের ১৬ কোটি মানুষেয় নিরাপত্তায় আমরা সীমান্তে প্রহরায়ও ছিলাম। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অনেকেই জীবন দিয়েছেন এবং ২ জন বীর শ্রেষ্ঠসহ অসংখ্য বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীরপ্রতিক রয়েছেন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে আমরাই একমাত্র বাহিনী ছিলাম যারা সীমান্তে নাফযুদ্ধ, পাদুয়ার যুদ্ধ ও বরাইবাড়ী যুদ্ধসহ অসংখ্য সীমান্ত যুদ্ধে বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে জয়লাভ করেছি। এ দাবিসমূহ এ দেশের ১৮ কোটি গণমানুষের দাবি, সুশীল সমাজের দাবি, এই দাবি সর্বস্তরের ছাত্র জনতার।