গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার দায়ে ২৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন। তারা প্রায় সবাই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে বলা হয়, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা সংক্রান্ত বিষয়ে শৃঙ্খলাবোর্ডের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩৪.০৪ তম সিন্ডিকেট বৈঠকের সিদ্ধান্তে ২৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে যাচাইপূর্বক অধিকতর শাস্তির বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।’
বহিষ্কৃতদের মধ্যে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের শাবিপ্রবির শাখার সভাপতি খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রুদ্র সেন হত্যা মামলার আসামি। গত বছর অক্টোবরে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া বাকিরাও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন-নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আসিফুল ইসলাম, ২০২০-২১ সেশনের ইলিয়াস সানী, মো. আকাশ আহমেদ, একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের শাবিপ্রবির শাখার সহ-সভাপতি ফারহান হোসেন চৌধুরী, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শিমুল মিয়া এবং একই বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী দুর্জয় সরকার নিলয়, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী মো. সিয়াম খান ও সজীব চন্দ্র নাথ ও ২০২১-২২ সেশনের সৈয়দ মাজ জারদি।
পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের মনিরুজ্জামান মুন্না, ২০১৯-২০ সেশনের মোজিদুল হক, একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের শাবিপ্রবি শাখার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান, একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. নাফিউজ্জামান, ২০১৮-১৯ সেশনের মো. ইসমাইল হোসেন ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ হোসেন টিটু।
বায়োকেমেস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শুভ্র রায় শ্যাম ও ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মারুফ মিয়া, ইংরেজী বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তৈমুর সালেহীন তাউস, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের রওফুন জাহান (মিলিনিয়াম), ২০২১-২২ সেশনের শিহাব উদ্দিন মিশু ও মোজাহিদুল ইসলাম সাইমুন, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের রেদোয়ান হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান, একই বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল হক, একই বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের মাঈদুল ইসলাম ও ২০২০-২১ সেশনের তারেক হাসান, বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান।