প্রকাশ: সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:০৪ PM
আমাদের জিভের পেছনের দিকে গলার দুই পাশে যে গোলাকার পিণ্ডটি দেখা যায়, তাকে টনসিল বলেন। এই অংশটি মুখ, নাক, গলার মাধ্যমে শরীরে কোনো রোগজীবাণু ঢুকতে বাধা দেয়। টনসিল গ্ল্যান্ড সংক্রমিত হলে চিকিৎসার পরিভাষায় তাকে টনসিলাইটিস বলে। মূলত ঠান্ডার কারণে টনসিলে সংক্রমণ হয়।
টনসিলে সংক্রমণের উপসর্গ কী কী?
টনসিলের সংক্রমণের কিছু সাধারণ উপসর্গ হলো-
গলা ফুলে যাওয়া
গলায় ব্যথা হওয়া
ঢোক গিলতে, কথা বলতে অসুবিধা হওয়া
অনেকেরই গলার ব্যথা ছড়িয়ে যায় কান-মাথাতেও। সেক্ষেত্রে-
জ্বর আসে
গলা ভেঙে যায়
মুখে দুর্গন্ধ হয়
আরও পড়ুন- শীত পড়তেই বাড়ছে পিঠ ব্যথা, মেরুদণ্ডের যত্নে করণীয়
টনসিল খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। এই ব্যথা কমাতে অনেকে অ্যান্টিবায়োটিক খান। রয়েছে বাজারচলতি নানা ওষুধ। কিন্তু সব ওষুধেরই কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া উপায়ে টনসিলের ব্যথা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন।
লবণ-পানিতে গার্গল
লবণে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা প্রদাহ কমায়। এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে অর্ধেক চা-চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন। স্বস্তি মিলবে।
লেবু-মধু পানি
এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে গোটা একটা পাতিলেবুর রস, ১ চামচ মধু ও একটু লবণ মিশিয়ে খান। টনসিলের ব্যথা কমবে।
গ্রিন টি ও মধু
আধা চা চামচ গ্রিন টি এবং এক চামচ মধু মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিন। দিনে তিন বার এই চা খান। গ্রিন টি তে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট যা জীবাণুর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। অন্যদিকে মধুর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল শক্তি টনসিলে সংক্রমণ ঠেকায়।
হলুদ ও দুধ
এক কাপ গরম দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিন। হলুদের রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমটরি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট গুণ, যা গলা ব্যথা দূর করে।