শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
 
শিরোনাম: নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ       ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা       একদিনে শনাক্ত আরও ৫১২ জন       দেশে আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত       সবার আগে বর্ষবরণ করলো নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া       শেষ সূর্যাস্ত দেখতে সৈকতে ভিড়       ২০২১ সালে ধর্ষণের শিকার অন্তত ১৩২১ নারী!      


লকডাউনেও ৭ জেলার খোলা প্রতিষ্ঠান, সড়কে শ্রমিক ও কর্মীদের ভোগান্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১, ২:৫৩ পিএম |

সরকার ঘোষিত লকডাউনে রাজধানী ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন জেলায় পোশাক কারখানাসহ ছোট-বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। তবে সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় কারখানার শ্রমিক-কর্মী এবং অফিসগামী যাত্রীদের মঙ্গলবার (২২ জুন) সকালে সড়কে ভোগান্তিতে পোহাতে হয়েছে। গণপরিবহন না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে অপেক্ষার পাশাপাশি বিকল্প উপায়ে অফিস ও কারখানায় যেতে কর্মীদের গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা।

গাজীপুর
স্বাভাবিক দিনগুলোতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা ও ময়মনসিংহের শেষ সীমান্ত এলাকা জৈনাবাজারে দেখা যেতো গণপরিবহনের জটলা। বাসে যাত্রী তুলতে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকতো অসংখ্য বাস। এসময় এ সড়কে কিছুটা যানজটের সৃষ্টিও হতো। তবে মঙ্গলবার সকালে ওই স্থানের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেখানে সকালে সড়কটিতে দেখা যায় অফিসগামী যাত্রীরা দাঁড়িয়ে আছেন, নেই গণপরিবহন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওই স্থানে নেই কোনও যানজট। তবে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দেখা গেছে।

কেমন চলছে ৭ জেলার লকডাউন

গণপরিবহন না থাকায় বাধ্য হয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চলাচল করতে হচ্ছে অফিসগামী পোশাক কারাখানার শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীদের। এতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। মহাসড়কের জৈনা বাজার, এমসি, নয়নপুর, মাওনা চেরৈাস্তা, মাস্টারবাড়ি, বাঘের বাজার, ভবানীপুরসহ সড়কের প্রতি বাস স্টপেজে দেখা গেছে যাত্রীদের জটলা। গণপিরবহন না পেয়ে আবার অনেকে পায়ে হেঁটেও পৌঁছেছেন কর্মস্থলে।

মহাসড়কের এমসি বাজার বাস স্টপেজে যানবাহনের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় ছিলেন মাস্টারবাড়ি এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিক রেজাউল করিম। সকাল ৭টার দিকে জৈনা বাজারের বাসা থেকে বের হয়ে অটো দিয়ে বাস স্ট্যান্ডে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু সড়কে নেই বাস। পরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় দ্বিগুন ভাড়ায় অফিসের উদ্দেশে রওনা হন।


বাঘের বাজার এলাকার গোল্ডেন পোশাক করাখানার নারী শ্রমিক জহুরা বেগম, আয়েশা আক্তার, ফুলমতি বেগম ও রেহেনা আক্তারসহ তাদের সহকর্মীরা বলেন, করোনা সংক্রমণ কমানোর জন্য লকডাউন দিয়েছে, অন্যদিকে অফিসও খোলা রাখছে। তাই দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই আমাদের অফিসে যেতে হচ্ছে। কাজ না করলে তো অফিস বেতন দেবে না। তাই বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া দিয়েই অফিসে যাচ্ছি।

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করেছে। আবার অনেকেই এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যে কারণে কর্মীদের কর্মস্থলে পৌঁছাতে অতিরিক্ত ভাড়া গোনার পাশাপাশি পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।

এদিকে, মহাসড়কে দূর পাল্লার যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলতে দেখা গেছে। সেখানে দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপভ্যানসহ রিকশাও চলতে দেখা গেছে।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক আল-আমিন জানান, লকডাউনে আমরা ভাড়া বাড়াইনি। আমাদের ইনকাম কম। এ লকডাউনে আমাদেরও তো খাইয়া পইরা বাঁচতে হবে।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, লকডাউনের প্রথম দিনে সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ রেখেছি। তবে জরুরি সেবায় বা ব্যক্তিগত কিছু গাড়ি চলছে। এছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কাছাকাছি দূরত্বের জন্য সড়কে রিকশাও চলছে।

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সর্বাত্মক লকডাউনেও তৈরি পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানা চালু রয়েছে। ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীসহ জেলার সব কারখানা চলছে পুরো দমে। তবে মঙ্গলবার লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে কাজে যোগ দিতে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।

এদিকে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা সিলেট মহাসড়সহ জেলার প্রবেশ পথের ৩০ টি পয়েন্টে পুলিশ চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের ১৮টি মোবাইল টিম কাজ করছে লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য।

কাঁচপুুরে অবস্থিত জয়া গার্মেন্টসের শ্রমিক সাহাবুদ্দিন, সাহেরা বেগম, রুনু আক্তারসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কাজে যোগ দিতে তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে প্রায় দুই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে কারখানায় পৗঁছাতে হয় বলে জানান তারা।



বিসিক শিল্পনগরীর শ্রমিক আশেক, রাব্বানীসহ কয়েকজন জানান, একদিকে বৃষ্টি, অন্য দিকে গণপরিবহন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ থাকায় কাজে যোগ দিতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদের। পায়ে হেঁটে কারখানায় আসায় নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে তারা কাজে যোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, লকডাউনের কারণে আমাদের শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে আসায় কোনও সমস্যা হয়নি। কারণ নারায়ণগঞ্জের যেসব গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে এবং সে কারাখানায় কর্মরত শ্রমিকরা ইন্ডাস্ট্রির আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় থাকেন। যে কারণে অনেকেই পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যোগ দিতে পারছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদেন কিছু স্টাফ আছেন, যারা ঢাকা থেকে আসেন। তাদের কিছুটা সসম্যা হচ্ছে। তাদের জন্য নির্দিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ মাইক্রোবাসে করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছেন। আসা-যাওয়ার পথে পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেটের চেকপোস্টের মুখে পড়ছেন তারা। তখন পরিচয়পত্র দেখালে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিকেএমইএর আরেক সহ-সভাপতি (অর্থ) সোহেল সারোয়ার জানান, কোভিড শুরুর পর থেকেই শ্রমিকদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও মাস্ক নিশ্চিত করে তাদের কর্মস্থলে প্রবেশ করানো হচ্ছে। শরীর তাপমাত্রাও মাপা হচ্ছে।


নগরীর চাষাঢ়া পয়েন্টে দায়িত্বপালনরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুনবী সোহাগ জানান, লকডাউনের প্রথমদিন হওয়ায় আমরা সকাল থেকে যারা রাস্তায় যানবাহন নিয়ে বের হয়েছেন তাদের বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। আর যারা চিকিৎসাসহ জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন কিংবা আমাদের কাছে বাসা থেকে বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ বোঝাতে পারছেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গার্মেন্ট কারাখানা খোলা রয়েছে। সকাল থেকে শ্রমিকদের বহন করা পরিবহন যাচাই-বাছাই করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কারখানায় কর্মরত স্টাফদের পরিচয়পত্র দেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, সকাল থেকে পুলিশ কাজ করছে। চেকপোস্ট বসিয়ে প্রতিটি যানবাহনকে থামিয়ে বের হওয়ার নির্দিষ্ট কারণ জানা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কেউ সড়কে বের হলে তাকে যানবাহনসহ ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে চেকপোস্টগুলোতে তৈরি পোশাক শ্রমিক ও কর্মীদের পরিবহন করা সব গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, লকডাউনের মধ্যেই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব কারখানা পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সকালে অফিসগামী যাত্রী নিয়ে ঢাকায় বাস প্রবেশ করতে দেখা গেছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাও তেমন একটা বাধা দিচ্ছেন না। তবে দূরপাল্লার কোনও বাস ছেড়ে যাওয়া বা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সকালে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড ও শনিরআখড়া এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাইনবোর্ড-গুলিস্তান সড়কের সাইনবোর্ড অংশে পুলিশের একটি চেকপোস্ট রয়েছে। সেখানে ‘রাস্তা বন্ধ’ লেখা পুলিশের একটি স্টিকার যুক্ত ব্যারিকেড রয়েছে। সেখান থেকে কিছু দূরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে রয়েছেন। যাত্রী পরিববহনের দায়ে কয়েকটি বাস ও লেগুনাকে আটকে রাখতে দেখা গেছে। তবে বাকি সবগুলো বাস ভরপুর যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে ছেড়ে গেলেও বাধা দেওয়া হচ্ছে না।

মানিকগঞ্জ

জেলায় সকাল থেকে শুরু হওয়া লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আজ অন্যদিনের মতো সড়কে লোকজনের চলাচল ছিল না। স্বাভাবিক সময়ের মতো হ্যালোবাইক, রিকশা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়কে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় সকালে কর্মস্থলে রওনা হয়ে বিপাকে পড়েন শ্রমিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।

শহরের সেওতা এলাকায় বাসা ভাড়া থাকেন তৈরি পোশাক শ্রমিক আম্বিয়া খাতুন (২৫)। প্রতিদিন তার কর্মস্থলে যাতায়াত ছিল গণপরিবহনে। অন্যান্য দিনের মতো কর্মস্থলে যেতে সকাল ৮টায় হাজির হন তিনি মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে। কিন্তু লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তিনি পড়েন মহা বিপাকে। বাসস্ট্যান্ড থেকে কর্মস্থল সাত কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে অফিসের সময় পেরিয়ে যাবে। অগত্যা আরেক নারী সহকর্মীর সঙ্গে ১০০ টাকা ভাড়ায় রওয়ানা দেন কারখানায়।

কথা হয় আরেক গার্মেন্টকর্মী আওলাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি যাবেন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তরা ক্রস ব্রিজের পাশে অবস্থিত মুন্নু অটোওয়্যারে। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তিনিও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে রওনা হন।

তবে জেলার বিভিন্নস্থানে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানার অনেকগুলোই নিজস্ব পরিবহন দিয়ে কর্মীদের যাতায়াত নিশ্চিত করেছে বলে জানা গেছে। 

লকডাউনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জেলার অভ্যন্তরের কোনও গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। শুধুমাত্র দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার নৈশকোচগুলো পাটুরিয়া থেকে ঢাকার গাবতলী অভিমুখে চলাচল করতে দেখা গেছে।

ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) প্রশাসন আবুল হোসেন গাজী জানান, সরকারে নির্দেশনার আওতামুক্ত যানবাহন ব্যতিরেকে কোনও গণপরিবহন চলাচল করতে দিচ্ছেন না তারা। পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া ও আরিচা–কাজিরহাট রুটে পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া ফেরিযোগে কোনও যানবাহন পারাপার হচ্ছে না। পাশাপাশি সকাল থেকে উল্লেখিত দুটি রুটে কোনও লঞ্চ ও স্পিডবোটও চলাচল করছে না।

ট্রাফিক পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে।

প্রসঙ্গত, করোনার ভয়াবহ প্রকোপ থেকে রাজধানী ঢাকাকে সুরক্ষিত রাখতে আশপাশের সাত জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। সোমবার (২১ জুন) বিকালে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম লকডাউনের কথা জানান।







প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com