শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
 
শিরোনাম: নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ       ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা       একদিনে শনাক্ত আরও ৫১২ জন       দেশে আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত       সবার আগে বর্ষবরণ করলো নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া       শেষ সূর্যাস্ত দেখতে সৈকতে ভিড়       ২০২১ সালে ধর্ষণের শিকার অন্তত ১৩২১ নারী!      


আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১, ৪:৪৮ পিএম |

মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাসের জুটিটাও জমে উঠেছে। মুমিনুল হকের বিদায়ের পর লিটন মুশফিকের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর থেকে সে জুটি অবিচ্ছিন্ন ৫০ রানে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ ছিল। বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৪৭৪। মুশফিক ১০৭ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত আছেন। লিটন ২৫ করেছেন ৩৯ বলে।

এর আগে মুমিনুলের ইনিংস থামে ১২৭ রানে। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে লাহিরু থিরিমান্নের হাতে ধরা পড়েন তিনি। খেলেছেন ৩০৪ বল। ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ১১টি চারে। 

মুমিনুল আর নাজমুল গতকাল প্রথম দিন শেষ করেছিলেন ১৫০ রানে অবিচ্ছিন্ন থেকে। আজ দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে এই জুটি থেমেছে ২৪২ রানে। নাজমুলের চোয়ালবদ্ধ ইনিংসের সমাপ্তিটা ঘটেছে যেভাবে, সেটিকে কিছুটা ‘অ্যান্টি–ক্লাইমেক্স’ই বলা চলে। দুদিন ধরে ইনিংসটাকে যেভাবে গুছিয়েছিলেন, তার শেষটা ঠিক তেমনভাবে হয়নি। লাহিরু কুমারার বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন নাজমুল। শটটা একটু আগেভাগেই খেলে ফেলেছিলেন তিনি। তারপরও নাজমুল দারুণ একটা ইনিংসই খেলেই আউট হয়েছেন ৩৭৮ বল খেলে। তাঁর ইনিংসটি ছিল ১৬৩ রানের। ১৭টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কায় সাজানো তাঁর সেই ইনিংস। নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটি বড় করে সেটির উদ্‌যাপনটা ভালোই হলো নাজমুলের।

মুমিনুল অবশ্য শ্রীলঙ্কান বোলারদের সামনে ছিলেন ‘দেয়াল’ হয়ে আছেন। নাজমুলের বিদায়ের পর তাঁর সঙ্গী ছিলেন মুশফিকুর রহিম।  কাল ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিন শেষ করেছিলেন। কিন্তু নিজের ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করার ক্ষেত্রে একটা পরিসংখ্যানগত সুনাম মুমিনুলের বরাবরই ছিল। নিজের ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরিটা করে ফেলতে ২২৪ বল খেলেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরিটি যেকোনো বিচারেই মুমিনুলের জন্য বিশেষ কিছুই। অধিনায়কত্বের ভার কাঁধে ওঠার পর থেকে টেস্টে ভরাডুবিই বেশির ভাগ সময় সঙ্গী হয়েছে তাঁর। এ ছাড়া দেশের মাঠ ছাড়া সেঞ্চুরি করতে পারেন না—এমন একটা ‘দুর্নাম’ও নামের পাশে এঁটে গিয়েছিল। পাল্লেকেলেতে সেঞ্চুরি করে সেই দুর্নাম দূর করলেন। নিজের অধিনায়কত্বে টেস্টে একটা ভালো মুহূর্তও পেলেন। ক্রিকেটের বড় সংস্করণে নিজেদের প্রমাণ করারও তো একটা ব্যাপার ছিল।

চা–বিরতির আগেই ৪০০ রানের কোটা পেরিয়েছে বাংলাদেশ।  নাজমুল দলীয় ৩৯৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যাওয়ায় পাল্লেকেলেতে একটা রেকর্ডের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশ কখনোই টেস্টে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৪০০ তুলতে পারেনি। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেট পড়েছিল ৩৯৯ রানে।







আরও খবর


প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com