প্রকাশ: বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১, ৫:৪৬ পিএম |
দিনাজপুরের খানসামায় স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করে প্রান্তিক চাষিদের সহজ লভ্য করতে কৃষক পর্যায়ে সম্ভাবনাময় বারি পেঁয়াজ-১ জাতের পরীক্ষামূলক চাষ করছেন কাচিনীয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম এবং বারি পেঁয়াজ-২ জাতের চাষ করছেন জোয়ার গ্রামের কৃষক নিরঞ্জন রায়।
জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ভাবকী ইউনিয়নের কৃষক শরিফুল ইসলামকে বারি পেঁয়াজ-১ জাতের কন্দ প্রদান করা হয়েছে। গত নভেম্বর মাসে লাগানো এসব ক্ষেতের বয়স চার মাস অতিক্রম করেছে। অপরদিকে জোয়ার মন্ডলপাড়ার কৃষক নিরঞ্জন রায় নিজ উদ্যোগে কন্দ সংগ্রহ করে ৩ শতক জমিতে বারি পেঁয়াজ-২ জাতের বীজ উৎপাদনে ফুল চাষ করছেন। আগামি এক মাসের মধ্যে ক্ষেত দুটির এসব ফুল থেকে বীজ সংগ্রহ করা যাবে।
কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর আমাকে ৪ কেজি করে পেঁয়াজের বীজ লাগে। এ বছর সাড়ে ছয় হাজার টাকা কেজি দরে বীজ কিনেছি। কিন্তু বাইরে থেকে কেনা বীজগুলোতে ভর্সা কম। তাই স্থানীয়ভাবে বীজ উৎপাদনে পরীক্ষামূলক চাষ করছি। পেঁয়াজের কন্দ বাদে জমি তৈরি, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং পরিচর্যা বাবদ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৬০ টাকার মত। চাষকৃত এসব ফুল থেকে প্রতি একরে ২শ থেকে ২শ ৫০ কেজি পর্যন্ত বীজ সংগ্রহ হতে পারে আশা করছেন তিনি।
অপর কৃষক নিরঞ্জন রায় বলেন, আমি গত তিন বছর ধরে স্থানীয় জাতের পেঁয়াজের বীজ চাষ করছি। চলতি মৌসুমে ৩ শতক জমিতে বারি পেঁয়াজ-২ জাতের বীজ চাষ করছি। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় দুই হাজার পাঁচশ টাকা। ফুল থেকে তিন বারে বীজ সংগ্রহ করতে হয়। তার এ জমিতে আড়াই থেকে তিন কেজি পরিমাণ বীজ হতে পারে তিনি আশা করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, গভেষণাগার থেকে উদ্ভাবিত নতুন নতুন জাত কৃষক পর্যায়ে আবাদের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন এবং দ্রুত সম্প্রসার করাই সরকারের মূখ্য উদদ্দেশ্য। আর কৃষক পর্যায়ে উৎপাদিত এসব বীজ আধুনিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ ও বাজারজাত করার বিষয় প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এতে চাষিরা ফসল চাষাবাদে স্বনির্ভর হবেন। ভালো বীজের ভালো ফসল পাবেন এবং চাষী থেকে চাষী উপকৃত হবেন।