প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৫৪ PM
ফরিদপুরের সালথায় মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে স্থানীয় ১টি বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার নারানদিয়া গ্রামে এ চুরির ঘটনা ঘটে। মোছাঃ শাহিনূর বেগম (২৫),স্বামী-রবিউল সরদার, সাং- নারানদিয়া, ইউনিয়ন-ভাওয়াল, থানা-সালথা, জেলা-ফরিদপুর,তিনি জানান গত মঙ্গল(২৬ নভেঃ) তারিখ রাত অনুমানিক রাত ০৯.০০ ঘটিকার সময় আমি আমার অসুস্থ্য শ্বশুর শ্বাশুড়ীকে চিকিৎসা করানোর জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই।
রাত্ অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় (২৭ নভেঃ তারিখ) শশুর শাশুড়িকে হাসপালে ভর্তি রাখিয়া আমি আমার পরিবারের লোকদের সাথে বাড়িতে চলে আসি। রাত্র অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা বাড়ির লোকজন ঘুমিয়ে পড়ি। ইং ২৭/১১/২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় ঘুম থেকে জাগিয়া বাহিরে যাওয়ার জন্য দরজা খুলতে গিয়ে দেখি বাহির থেকে দরজা আটকানো। ঘরের অন্য দরজা খুলতে গেলে ঘরের ভিতরের আসবাব পত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখি। আমার ছোট জা ছনিয়ার ঘরের অড্রপের তালা খোলা এবং ভিতরে রক্ষিত জমি ক্রয়ের জন্য রাখা নগদ সাত লক্ষ তেইশ হাজার টাকা নেই । উক্ত টাকার মধ্যে তিন লক্ষ টাকা আমার স্বামী নটখোলা গ্রামের ভোগনিপতি ইনামুলের নিকট থেকে হাউলাত আনা, নগরকান্দা ব্রাক ব্যাংক থেকে আমার রেশমা কতৃক উত্তলোন কৃত, চান্দা খোলা গ্রামের আমার ভাতিজা কামাল হোসেনের নিকট থেকে ৮৫,০০০ হাজার টাকা হাউলাত কৃত।
আমার কক্ষের ড্রেসিন টেবিলের তালা ভাঙ্গা এবং ভিতরে রক্ষিত দুইটি স্বর্নের হার ওজন অনুমান ৩ ভরি মূল্য অনুমান চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, দুইটি স্বর্নের রুলি ওজন অনুমান দুই ভরি মূল্য অনুমান দুই লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা, তিন জোড়া কানের স্বর্নের দুল ওজন অনুমান ১ ভরি মূল্য অনুমান দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা, তিনটি স্বর্ণের আংটি ওজন অনুমান আট আনা মূল অনুমান ষাট হাজার টাকা, দুইটি বিদেশি কম্বল নাই। তখন আমি বুঝতে পারি ইং ২৭/১১/২০২৪ তারিখ দিবাগত রাত্র অনুমান ০২. ঘটিকা হইতে ইং ২৭/১১/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাত নামা চোর/ চোরেরা আমাদের বসত ঘরের কেচিগেটের তালা ভেঙ্গে সংগপনে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে উলেক্ষিত নগদ টাকা ও স্বর্নালঙ্কার এবং আমাদের জমির যাবতীয় দলিল ও পর্চাসহ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপাতি চুরি করিয়া নিয়া গেছে ।
আমার সন্দেহ হয় এই চুরির ঘটনার সাথে আমাদের একই গ্রামের চোর সাগর শরিফ(২৪), পিতা-মৃত রতন শরিফ জড়িত। বিভিন্ন সময় সে আমার খোজ খবর জানতে চাইতো এবং অধিক রাতে সে আমার ঘরের চার পাশদিয়ে ঘুরাফেরা করিতে দেখছি। উক্ত ঘটনা এলাকার অনেকে জানে । এ ব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান বলেন এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে তদন্ত করে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।