প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৪০ PM
জেলার রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আরমান মোল্লা'র বিরুদ্ধে একটি চক্র ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যা মামলা এবং অনিয়ম দূর্নীতি সহ একাধিক মামলার আসামী হওয়ায় গত সেপ্টেম্বরে রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আতাউর রহমান র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হোন। তার এই গ্রেপ্তারে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ফলে পরিষদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন ইউনিয়নবাসী। ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম ও জনসেবা সচল রাখতে গত ৬ অক্টোবর (রবিবার) দুপুরে মরজাল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এক জরুরি সভায় ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য, সচিব ও কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতি ও কন্ঠভোটের মাধ্যমে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও যুবদল নেতা মোঃ আরমান মোল্লাকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। তিনি প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জনসেবায় মনোনিবেশ করে অল্পসময়ে ইউনিয়নবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হোন। তার এই সফলতার ফল স্বরূপ হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ রাশেদ হোসেন চৌধুরী গত ৪ নভেম্বর মোঃ আরমান মোল্লা উপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পণ করেন। তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ কে দূর্নীতি মুক্ত, জবাবদিহি ও জন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং পাশাপাশি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। অন্যদিকে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার ও নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। মরজাল ইউনিয়নের মানুষের প্রিয় ব্যক্তি ও স্থানীয় যুবদল নেতা মোঃ আরমান মোল্লাকে ঘিরে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ইউনিয়নবাসী ও ইউপি সদস্যগন। সরজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদলের জনপ্রিয় এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। আর এসবের মূল নায়ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন ঘাপটি মেরে থাকা পতিত ফ্যাসিস আওয়ামী লীগ নেতা এবং একই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ হোসেন। এসব মিথ্যা প্রগন্ডা ছড়িয়ে এবং ষড়যন্ত্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে মাঠে নেমেছেন তিনি। আরমান মোল্লার সাথে ইউনিয়নের জনগনের সম্পর্ক নষ্ট ও ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম ব্যাহত করার চক্রান্তও করছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থক, ইউনিয়নবাসী, পেশাজীবি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ষড়যন্ত্রকারী হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন অনেকে। এলাকাবাসী জানান, চেয়ারম্যানের সাথে জনগনের সাথে সু-সম্পর্ক, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাকে বেকায়দায় ফেলতে স্থনীয় মেম্বার হোসনের নেতৃত্বে একটি নীল নকশা আঁটে। চিহ্নিত মহলটি মরজাল ইউনিয়নে শান্তি সৃষ্টি করতে চায়। তারা মরজাল ইউনিয়বাসীর প্রিয় মানুষ আরমান মোল্লার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও নানান ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তার সততা ও দক্ষতার কারণে আজ সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছাতে পেরেছেন। এত ইউপি সদস্য থাকার পরও ক্লিন ইমেজের কারণেই তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরমান মোল্লা বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমি চেষ্টা করছি সবসময় মানুষের পাশে থাকতে। ইনশাআল্লাহ জনগণের পাশে ছিলাম জনগণের পাশেই আছি। জনগণ আমাকে ভালোবেসে জনগণের প্রতিনিধি বানিয়েছে। এটা সবাই জানে। আমিও জনগণের ভালোবাসায় যতটুকু পেরেছি তাদের জন্য করেছি বা করে আসছি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও করবো। হোক সেটা জনগনের প্রতিনিধি হয়ে না হয় সাধারণ মানুষ হয়ে। আর আমাকে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছ বা করছেন তাদের উদ্দেশ্য বলবো আপনারা আপনাদের নিজ নিজ কাজে মন দেন।