প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২:২০ PM
লেবাননের বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘরে ফিরে যেতে শুরু করেছে বাস্তুচ্যুত লোকজন। ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তির পর লেবাননের বেসামরিক নাগরিকরা তাদের আশ্রয়ে ফিরছেন। হিজবুল্লাহ এই চুক্তিকে নিজেদের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেছে, তবে ইসরায়েলি বাহিনী বলছে তাদের সেনারা সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে রাতের বেলা কারফিউ জারি করেছে। লিতানি নদীর আশপাশের এলাকায় লোকজনের চলাফেরায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত সেখানে চলাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আগে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং চুক্তির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, উত্তর লেবাননের বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, যদি হিজবুল্লাহ চুক্তি ভঙ্গ করে, তাহলে ইসরায়েল পুনরায় হামলা চালাবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তগুলোর বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি, তবে একটি শর্ত হচ্ছে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ ৬০ দিনের জন্য তাদের বাহিনী দক্ষিণ লেবানন থেকে প্রত্যাহার করবে। হিজবুল্লাহ সীমান্তের প্রায় ১৯ মাইল উত্তরে লিতানি নদীর উত্তর দিকে অবস্থান করবে, দক্ষিণে তাদের কোনো উপস্থিতি থাকবে না। সেখানে শুধু লেবাননের সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা অবস্থান করতে পারবেন। যুদ্ধবিরতির সময়কাল লেবাননে ঘটনার ওপর নির্ভর করবে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, তেহরান লেবাননে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হওয়ার খবরকে স্বাগত জানায়।
গত ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের সীমান্তে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গাজায় সংঘাত শুরুর পর ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩,৮২৩ জন নিহত এবং ১৫,৮৫৯ জন আহত হয়েছে।