বাংলার ইতিহাসের অন্যতম কলঙ্কিত অধ্যায় নীল চাষের ইতিহাস দিয়ে শুরু করি। লুই বোর্নাড নামক ফরাসি বনিকের হাত ধরে ১৭৭৭ সনে যে নীল চাষের প্রচলন শুরু হয়, তার সমাপ্তি ঘটে ১৮৫৯ সনের নীল বিদ্রোহের মাধ্যমে। নীল চাষ পরিচালনার জন্য অনেক নীল কুঠি স্থাপন করা হতো, যাদের মাঝে একটি কুঠিতে সমগ্র কারবার পরিচালনা করার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকত, যেটি সদর কুঠি বা কনসার্ন নামে পরিচিত ছিল। সদর কুঠিতে পরিচালনা পর্ষদ প্রতি কুঠিতে একজন ব্যবস্থাপক বা অধ্যক্ষ নিয়োগ করত । তাকে বড় সাহেব বলে সম্ভোধন করা হত । আর এই বড় সাহেব তাদের সাহেব রূপী অন্যান্য সাহেবদের স্বার্থ দেখার জন্য নীল চাষিদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালাতো।
কৃষকদের দাদন বা অগ্রিম অর্থ দিয়ে নীল চাষে বাধ্য করা হত । একে ‘রায়তি বা দাদনি আবাদি’ বলত । চাষি দাদন নিতে না চাইলেও তাঁকে জোর করা হত । ছলে, বলে, কৌশলে এমন ভাবে দাদনের কাগজ তৈরি হত যে এক বার দাদন নিলে তা থেকে বেরিয়ে আসার সাধ্য থাকত না গরীব চাষিদের ।
পাসপোর্টের সেবা নিয়ে ছেলে খেলা প্রতিবেদনে নীল চাষের ইতিহাস কেনো টেনে আনলাম, তা এই প্রতিবেদনেই ব্যাখা করবো। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালেয়শিয়া, ওমান, দোহা, কুয়েত, সিংঙ্গাপুর,ইতালি, কানাডা, বাহরাইন, হংকং, দক্ষিণ আফ্রিকা, জর্ডানে বাংলাদেশ মিশনের পাসপোট ও ভিসা উইংয়ের জন্য প্রথম সচিব ও দ্বিতীয় সচিব পদে ১৯ জনবল চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।নীল চাষ সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য যে সদর কুঠি বা কনসার্ন গুলোর কথা বলেছিলাম, সুরক্ষা সেবা বিভাগের কর্মকাণ্ড দেখে, সেই সদর কুঠির কর্মকান্ডের কথা মনে পড়ে যায়।
সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে বিদেশস্ত বাংলাদেশের মিশনগুলোতে পাসপোর্ট ও ভিসা উইং-এ যে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে সেখানে প্রথম সচিব পদের জন্য আবেদনকারীর যোগ্যতা জাতীয় বেতন স্কেলের ষষ্ঠ গ্রেডে কম পক্ষে দুই বছরের চাকুরির অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সিনিয়র সহকারী সচিব ও সমযোগ্যতা সম্পন্ন বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তা এবং দ্বিতীয় সচিব পদের জন্য জাতীয় বেতন স্কেলের ষষ্ঠ গ্রেড প্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব ও সমযোগ্যতা সম্পন্ন বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদানের মতো বিশেষায়িত পদগুলোতে পাসপোর্ট কর্মকর্তাদেরই আবেদনের আর কোন সুযোগ থাকলো না। সেই নীল চাষের সময় ছলে, বলে, কৌশলে তৈরি করা দাদনের কাগজ এর মতো অত্র বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
তাই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আপত্তি তুলেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর । তাদের দাবি, ষষ্ঠ গ্রেডে বেতন প্রাপ্ত হলেও পদ মর্যাদায় পাসপোর্ট কর্মকর্তারা বিসিএস ক্যাডার না হওয়ার কারণে , তাদের জন্য নির্ধারিত পাসপোর্টের কাজই তারা করতে পারবেন না।গরীব নীল চাষিদের আর্ত চিৎকার যেমন নীলকরদের কানে পৌঁছুতো না, তেমন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এই আপত্তিতে সুরক্ষা সেবা বিভাগের কোন কর্ণপাত হয় নাই।
বাধ্য হয়েই, এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে সাংবিধানিক এবং বিধিমোতাবেক ন্যায়বিচার লংঘন দাবি করে সুরক্ষা সেবা বিভাগে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। গত ৩০ অক্টোবর সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি বরাবর এই নোটিশ পাঠান হয়।
কর্মকর্তাদের দাবি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৩৬ এর উদ্দেশ্য পূরণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাওয়া ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ,১৯৭৩ বলে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এই আদেশের অনুচ্ছেদ-২(ঘ) তে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের কথা বলা রয়েছে। বাংলাদেশ পাসপোর্ট বিধিমালা, ১৯৭৪ এর বিধি-৩ এ পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট করে দেয়া সত্ত্বেও সুরক্ষা সেবা বিভাগের এমন নোটিশ জারি আইনকে স্পষ্টভাবে লঙ্গন করা সহ আমলাদের সকল সুবিধা ভোগের মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে।
নিয়োগ বিজ্ঞপিত্তির সংশোধনী চেয়েছেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজি মেজর জেনারেল মো.নুরুল আনোয়ার । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে সিনিয়র সচিব বরাবার এক আবেদনে তিনি এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সংশোধনী চেয়ে পদগুলোতে অধিদপ্তরের দক্ষ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট সেবা দেয়ার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করার দাবি করেছেন।
তার দাবি, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের আবেদনের সুযোগ না থাকায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা হতাশাগ্রস্ত হয়েছেন। সিনিয়র সচিব ও উপদেষ্টাকে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হতাশার বিষয়ে ব্যক্তিগত পর্যয়ে অবহিত করা হয়েছে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং-এ প্রথম সচিব ও দ্বিতীয় সচিব পদে পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত কাজে কোন ধরণের সম্পৃক্ততা, অভিজ্ঞতা কারিগরি জ্ঞান ছাড়াই বর্ণিত ক্যাডারের কর্মকর্তারা আবেদন করতে পারলেও ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের উপর আরোপিত কাজ করতে পারবে না। এ ধরণের নিয়োগ প্রকৃতপক্ষে দেশি-বিদেশি নাগরিকের অনুকূলে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে বিস্তৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা কার্যক্রমকে সম্পূর্ণরূপে বিঘ্নিত করবে। অধিকন্তু; বাংলাদেশ পাসপোর্ট বিধিমালা, ১৯৭৪ এর তফসিল সংশোধন ব্যতীত ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অভিজ্ঞ, দক্ষ এবং যোগ্য পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অন্য সকল ক্যাডারকে নতুন করে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ হিসেবে ঘোষণা করা আইনতঃ আদৌ সঠিক হবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষো সেবা বিভাগ বলছে, পদ তৈরী হয়েছে ক্যাডার সার্ভিসের জন্য। স্পষ্ট লেখা রয়েছে। এখানে জনপ্রশাসন নীতি মানা হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন। কর্মকর্তাদের পক্ষে ডিজি বরাবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সংশোধনীর জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, দক্ষ কর্মীদের বঞ্চিত করে সেবা নিশ্চিত করতে পারছে না মিশনগুলো। এসব কারণে পর্যটকরাও সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। পাসপোর্ট সেবা বিষয়টি কারিগরি বিষয় এটি কিভাবে অন্য কর্মকর্তা দিয়ে পুরন হবে, তা বোধগম্য নয়। কর্মকর্তাদের অভিযোগ, অন্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের কোনো দক্ষতা নেই। মিশনে যাবার আগে সিনিয়র সহকারী সচিব বা যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হন তাদের আমরাই মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেই।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর পরিবতর্তিত প্রেক্ষাপটে আভ্যন্তরীন এই অসন্তোষের কথা স¦রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগকে অবহিত করেছেন পাসপোর্টের ডিজি। এতে দাবি করা হয়েছে, জনবল নিয়োগে অর্থবিভাগের যে শর্ত রয়েছে ‘ সমপর্যায়ে কর্মকর্তা’ এই ধারাটি রাখা হয়নি। এই ধারাটি সংযোজনের আবেদন করেছেন ডিজি। এবিষয়ে জানতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজিকে ফোন করা হয়ে তিনি তা রিসিভ করেননি।
২০১২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর দেশের বাইরে বিভিন্ন মিশনে পাসপোর্ট ও ভিসা উইং তৈরীর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেবছর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২৪ টি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল ভিসা যন্ত্র বসানো হয়েছে এমন মিশনগুলোতে সেবা দেয়ার উইং তৈরীর প্রস্তাব করা হয়। সেসময় দাবি করা হয় দক্ষ লোকের অভাবে যন্ত্রগুলো ব্যবহার হচ্ছে না। বাস্তবতা বিবেচনায় ৬৬ টি মিশনে ৩৬৬ টি পদ তৈরীর প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে ৩৬৬ জন জনবলও নিয়োগ দেয়া হয়। সে বছর ১৯টি বাংলাদেশি মিশনে ৭৩টি পদের অনুমোদন দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২০২৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাদনরূপি এক গেজেটের মাধ্যমে জানায়, প্রথম সচিবের পদ জেষ্ঠ সহকারী সচিবরা পূরণ করবেন এবং এই পদগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। নীল চাষ পরিচালনাকারী সাহেবদের মতো, বিদেশের মিশনগুলোতেও সাহেব রূপী প্রশাসন কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
বিদেশি মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং এ কর্মরত প্রথম সচিব তার মূল বেতন পান মার্কিন ডলারে। এছাড়াও মাসে মোটা অংকের বৈদেশিক ভাতা ও বিনোদন ভাতা পান ডলারে। কর্মকর্তার জন্য বার্ষিক ২০ হাজার ডলারের শিক্ষা ভাতা বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং সরকার থেকে তিন কক্ষের বাড়ির ব্যবস্থা এবং ৯০ শতাংশ চিকিৎসা খরচও বহন করা হয়। এছাড়া বছরে একবার কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য (সর্বোচ্চ ৫ জন) বিমান টিকিটের ব্যবস্থা ক…
বিদেশি মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং এ কর্মরত প্রথম সচিব তার মূল বেতন পান মার্কিন ডলারে। এছাড়াও মাসে মোটা অংকের বৈদেশিক ভাতা ও বিনোদন ভাতা পান ডলারে। কর্মকর্তার জন্য বার্ষিক ২০ হাজার ডলারের শিক্ষা ভাতা বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং সরকার থেকে তিন কক্ষের বাড়ির ব্যবস্থা এবং ৯০ শতাংশ চিকিৎসা খরচও বহন করা হয়। এছাড়া বছরে একবার কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য (সর্বোচ্চ ৫ জন) বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়। আর নীল চাষি রুপি পাসপোর্ট কর্মকর্তাগণ বাংলাদেশের পাসপোর্ট আর ভিসা অফিসগুলোতে পাসপোর্ট ও ভিসার কাজ করেই ক্ষান্ত থাকবেন। এই কাজের সরকার প্রদত্ত লাভের গুড় সাহেবদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প থেকে পাসপোর্টের ডিজিকে প্রেরিত চিঠি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় বিদেশস্থ বাংলাদেশের ৩৭ টি মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং এ পাসপোর্ট কর্মকর্তা ব্যতীত ক্যাডারদের পদায়নের ফলে পাসপোর্ট কার্যক্রম পরিচালনায় যে সকল Bio-Metric কার্যাদি ভুল হয়েছে সেগুলোর মধ্যে শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভুল নেয়া হয়েছে ২১৫২ জনের, সিগনেচার অসম্পূর্ণ ভাবে নেয়া হয়েছে ১৪৬ জনের এবং চোখের আইরিশ ভুল করা হয়েছে ৭২০ জন আবেদনকারীর।অর্থাৎ যাদের কষ্টের উপার্জিত রেমিট্যান্স নিয়ে আমরা গর্ব করি, তাদেরকেই নাজেহাল করার জন্য কতিপয় সুবিধাবাদী কর্মকর্তাদের লাভের জন্য অদক্ষ ব্যক্তিদের পদায়নে সুরক্ষা সেবা বিভাগ দ্বিধা বোধ করছে না।
নীল বিদ্রোহের ঘটনার খবর ইংল্যান্ডে পৌঁছে গেলে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কৃষকদের দুরবস্থার বিষয় নিয়ে ইংরেজ শাসকদের কাছে কৈফিয়ত তলব করে এবং বিদ্রোহ ও অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে নীল চাষ এই দেশ থেকে ধীরে ধীরে উঠে যায়। আমাদের দেশের সাধারণ প্রবাসীদের কথা ভেবে পরিবর্তনের ডাক দেয়া উপদেষ্টা মন্ডলীও অত্র বিজ্ঞপ্তি সংশোধন নিয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, এমন আশা আমরা করতেই পারি।
লেখক: আছাদুজ্জামান, সিনিয়র সাংবাদিক