এনটিভির বার্তা সম্পাদক সীমান্ত খোকনের ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর চামেলীবাগের নিজ বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পল্টন থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্টন থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) নাসিরুল আমীন বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক সীমান্ত খোকন শারীরিকভাবে নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এছাড়া তার চাকরি চলে যাওয়ারও কথা শোনা যাচ্ছিল। গত কিছুদিন ধরে এসব বিষয় নিয়ে তিনি আপসেট ছিলেন।
পল্টন থানার ওসি জানান, সকাল থেকে সীমান্ত খোকনের রুমের দরজা বন্ধ ছিল। দুপুর দেড়টার দিকে পরিবারের সদস্যরা চাবি দিয়ে রুমে প্রবেশ করে দেখেন তিনি ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে পুলিশকে জানালে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সীমান্ত খোকনের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়নে। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি পরিবার নিয়ে চামেলীবাগে থাকতেন।
এনটিভির হেড অব নিউজ ফকরুল আলম জানান, সীমান্ত খোকনের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা তার বাসায় যাচ্ছি। কিছু বিষয় নিয়ে খোকন মানসিক হতাশায় ছিলেন বলেও জানান তিনি। সাংবাদিক সীমান্ত খোকন জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছিলেন। ছিলেন কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি-বাচসাস সদস্য। এক সময় বিনোদন সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। এদিকে সীমান্ত খোকনের নামাজে জানাজা আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্টিত হবে জানান জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া।
সীমান্ত খোকনের মৃত্যূতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি-বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ শোক প্রকাশ করেছেন। সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ বলেন, সীমান্ত খোকনের অকাল মৃত্যুতে বাচসাস পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। গভীর সমবেদনা জানাই মরহুমের পরিবারের সদস্যদের এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি।