২১/০৯/২০২৪ তারিখে দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত কলাম “উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে যত অনিয়ম” শীর্ষক অসত্য ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রতিবেদনের ব্যাপারে উত্তরা ইউনিভার্সিটির বক্তব্য নিম্নে তুলে ধরছি
১। “নানা বিতর্ক ও গোঁজামিল দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা উত্তরা ইউনিভার্সিটির একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের নানাভাবে হয়রানীর অভিযোগ দীর্ঘদিনের।” ছাত্রীদের নানাভাবে হয়রানির বিষয়ে লিখিত ও মৌখিক কোন অভিযোগ ছিল না ও এরকম কোন ঘটনাও ঘটেনি। নানা বিতর্ক ও গোঁজামিল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
২। “অননুমোদিত বিষয়ে ভর্তি, সনদপত্রর প্রদান”
অত্র ইউনিভার্সিটির সকল প্রোগ্রামই ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া ও সনদপত্র ইউজিসির যথাযথ নিয়মমাফিক প্রদান করা হয়। নিয়মমাফিক পরিচালিত হচ্ছে বিধায়ই উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় এ পর্যন্ত ৮ টি সমাবর্তন সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।
৩। “বর্তমান উপাচার্য ঢাবির ছাত্রী না হয়েও নিজেকে ঢাবির শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেকে প্রচার করছেন। এসব বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও ইউজিসিতে গত কয়েক বছরে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়লেও ভিসি থাকছেন ধরা ছোয়ার বাইরে।”
অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য ঢাবির অনুমোদিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে ও ইউজিসিতে নেই অতএব এরকম বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই।
৪। “তিনি আওয়ামীলীগের নেত্রী রাজনৈতিক পরিচয়ে তিনি সব অভিযোগ ধামাচাপা দিতে সক্ষম হন।” তিনি কোন রাজনৈতিক দলের কোন ধরনের পদে কোনদিনও ছিলেন না এবং বর্তমানেও নেই সুতরাং রাজনৈতিক পরিচয়ে অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।
৫। “ভিসির ডক্টরেটসহ সব সনদ এবং ডিগ্রি ভারতের।”
ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি থাকা দোষের কিছু নয় এবং সেখানে বিশ্বমানের বহু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ভারত থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং তিনিও (উপাচার্য) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
৬। “পি আর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগ”
পি আর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় আলোচনা ও সমালোচনা এবং তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দলোন পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে কিছু শিক্ষার্থী মব সৃষ্টি করে এবং তাকে বিভিন্ন অপিরিচিত নাম্বার থেকে প্রাননশের হুমকি দেওয়ায় তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি এখন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কোন কর্মকর্তা নন। পি আর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অফিসিয়াল অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সুতরাং বিক্ষোভ করে প্রতিকার পাইনি কথাটি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
৭। “পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার লোক দিয়ে গত ১৫ বছর ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের শায়েস্তা করা হয়েছে।”
অত্র ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা অত্যন্ত নিরাপদ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ইউনিভার্সিটি জীবনের পড়াশুনা সম্পন্ন করে আসছে। ইউনিভার্সিটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোন পুলিশ বাহিনীর হস্তক্ষেপের কোন নজীর নেই ।
৮। “বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় সব পদে গোপালগঞ্জের লোক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পদে মেরিট ও আইনানুযায়ী নিয়োগ দেয়া হয়। সব বড় বড় পদে গোপালগঞ্জের লোক থাকার তথ্যটি সত্য নয়।
৯। “বিশ্ববিদ্যালয়য়ের একজন শিক্ষক জানান, সাংবাদিকদের নানাভাবে বোঝানো এবং আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের শান্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৫ আগস্টের পর আইন বিভাগের সাবেক ছাত্রদের ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
কোন সাংবাদিক অত্র ইউনিভার্সিটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করেনি। সুতরাং নানাভাবে বোঝানোর কোন প্রশ্নই আসে না। ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের নিজস্ব দ্বন্দ্বের জেরে দ্বন্দ্ব নিরসনে তাদের সাবেক ছাত্রছাত্রীদের ডেকে সমাধান করেছে। সুতরাং সাবেক ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে ফেসবুকে ইউনিভার্সিটির পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়েছে কথাটি সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট।
১০। “সিএস প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী না পাওয়ায় সিএসই ডিগ্রি দিচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে সিএস প্রোগ্রামটি সিএসই হিসেবে নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি ইউজিসিকে অবহিত করা হয়। ইউজিসির দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী ওবিই সিলেবাস প্রণয়ন করে ইউজিসিতে প্রেরণ করা হয়। ইউজিসি প্রোগ্রামটির অনুমোদন দেয়। সুতরাং অননুমোদিত প্রোগ্রাম পরিচালনার তথ্যটি সত্য নয়।
১১। “ড. ফেরদৌস জামানসহ কয়েকজনকে দুবাই ঘুরিয়ে আনার বিনিময়ে চিঠিসহ ফাইল চাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে”
এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি যে দুবাই ঘুরিয়ে ফাইল চাপা দিতে হবে সুতরাং তথ্যটি সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট।
১২। “ইউনিভার্সিটির অনিযমের তদন্ত চান শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক এবং ভিসি ও সাবেক ভিসি ও প্রথম স্ত্রীর সন্তান ও ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলেদের দ্বারা নির্যাতিত সাবেক শিক্ষক ও কর্মকর্তারা "
অত্র ইউনিভার্সিটি কখনোই অনিযমের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেয়নি। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাবেক শিক্ষক ও কর্মকর্তারা কখনো তদন্তেরও দাবি করেনি। সাবেক ভিসির প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান কথাটি মিথ্যা ও বানোয়াট বরং তার একটাই স্ত্রী এবং তারা দু'জন একই স্ত্রীর সন্তান। উল্যেখ্য যে, তার দুই সন্তানই স্কলারশীপ নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত। মাননীয সাবেক ভিসির ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষযে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোয় আমরা অত্যন্ত বিব্রত বোধ করছি। এহেন ঘৃণিত মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর তীব্র নিন্দা জানাই।
উত্তরা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে। সম্প্রতি উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়কে জড়িয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যমূলক, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে এর সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনায় কর্তৃপক্ষ সবার সহযোগিতা কামনা করছে।