প্রকাশ: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:৪৪ PM
জার্মানিতে বসবাসরত স্বাধীনতার স্বপক্ষের প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যেগে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে সম্মিলিত কন্ঠেপরিবেশন হয় জাতীয় সংগীত এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মিশ্রিত লোক সংগীত।
জার্মানির ফ্রাঙ্কফ্রুট শহরে স্থানীয় একটি মিলনায়তনে বিপুল পরিমাণ প্রবাসীর উপস্থিতিতে গত ৫ই আগষ্টের পর থেকে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের ভয়াবহ নৃশংসতা, হত্যাকান্ড,লুটপাট, অগ্নিসংযোগ,তদুপরি জাতীয় সংগীতের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় মৌলবাদী স্বাধীনতা বিরোধীরা আঘাত করায় হাজারো কন্ঠে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে ঐ মৌলবাদ-জঙ্গীবাদ স্বাধিনতা বিরোধী শক্তিকে জানান দেওয়া হয় বাংলাদেশের জনগণ কোনদিনই জামাত- শিবির -রাজাকারদের বাংলার মাটিতে ও প্রবাসে গ্রহণ করবে না। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে জাতীয় পতাকা আর জাতীয় সংগীত আমাদের সাংবিধানিক আমানত। এখানে কোন ষড়যন্ত্র আমরা মানবো না বলে প্রবাসীরা বক্তব্য দেন। ৫ই আগষ্টে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পরে বাংলাদেশে যে সন্ত্রাসবাদ- নৈরাজ্যবাদ চলছে তা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে একটি অসভ্য- জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিচিত করেছে। এমনকি জার্মানিসহ অনেক রাষ্ট্র বাংলাদেশ ভ্রমণে তাদের নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা।
সরকারের ক্ষমতা পালা বদলের মাত্র কয়েকদিনের মাথায় দেশের আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। দেশ ও জণগণের নিরাপত্তায় বর্তমান কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলেও প্রবাসীরা মতামত প্রদান করে। দেশের এই কঠিন মূহুর্তে স্বাধীনতার স্বপক্ষের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই বলেও সভায় উপস্থিত সকলেই একমত পোষণ করেন। হাজারো কন্ঠে জাতীয় সংগীত,লোকজ সংগীত, প্রবাসীদের আপ্যায়নের এই অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধনে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন হায়দার মণি, কামরুল আহসান সেলিম, হাফিজুর রহমান আলম, জাহিদুল ইসলাম পুলক, হাকিম টিটু,নজরুল ইসলাম খালেদ,আব্বাস আলি চৌধুরী, শামসুল করিম পল,নোমান হামিদ,জালাল আবেদিন, রেখা সেলিম,তাপসি রায়,লিজা নুরুদ্দিন, নাসিরুদ্দিন,জাহাংগীর হোসেন, জিল্লুর রহমান,আতিকুল হক সবুজ,কামাল ভূইয়া,মোঃ জালাল,কাজী আসিফ হোসেন দিপ,দেলোয়ার হোসেন জাহিদ বিপ্লব, আমানুল্লাহ ইসলাম, কায়সারুল আলম, ফিরোজ আহমেদ, আলি হোসেন, মহসিন, সোহেল, ইসমাঈল নেসার, শাহজাহান খান,বোরহান খান,অশ্রুসহ আরও অনেক জার্মানি প্রবাসী বাঙ্গালিরা। হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য চেতনায় লালন করে আসা বাঙালিরা সমস্ত রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।