প্রকাশ: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৩৭ AM
ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননের পর এবার ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে তিন প্রকৌশলীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। ইয়েমেনের রাস ইসা এবং হোদেইদাহ এলাকায় হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে রোববার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ইরান।
ইয়েমেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সমুদ্রবন্দরগুলোতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে আইডিএফ জানিয়েছে। হামলার বিষয়ে এক্স প্লাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে আইডিএফ বলেছে, ‘ইয়েমেনে হুথি সন্ত্রাসীদের অধ্যুষিত এলাকা রাস ইসা এবং হোদাইদাহে আজ একটি বড় আকারের বিমান অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এয়ারফোর্সের ডজনখানেক এয়ারক্রাফ্টসহ ফাইটার জেট, রিফুয়েলিং এবং গোয়েন্দা বিমান এ অভিযানে অংশ নেয়। আইডিএফ বিদ্যুতকেন্দ্রগুলো এবং একটি সমুদ্র বন্দরে আক্রমণ করেছে যেগুলো তেল আমদানিতে ব্যবহৃত হতো।’
ইয়েমেনে যেসব অবকাঠামো এবং বন্দরগুলোতে আক্রমণ করা হয়েছে সেগুলো ইরানিয়ান অস্ত্র পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হতো বলে দাবি করেছে আইডিএফ। ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দরে বিমান হামলায় জ্বালানি ট্যাঙ্কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে হুতি সংশ্লিষ্ট আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন বিদ্যুৎ প্রকৌশলী ও একজন বন্দর কর্মী।
হুথিদের ‘সাম্প্রতিক হামলার’ প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। শুক্রবার মধ্য ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কৃতিত্ব দাবি করেছিল হুথিরা।
‘হোদেইদাহে ইসরায়েলি আগ্রাসনের’ জবাবে হুথি বার্তা সংস্থা একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘এতে ইয়েমেনের লড়াই থামবে না, ইহুদি শত্রুদের বিরুদ্ধে হামলাও বন্ধ হবে না।’
ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর ও বাব আল-মানদেব প্রণালিতে ইসরায়েল ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে তারা এই জবাব দিচ্ছে।
রোববার হুতিদের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলি বিমান হামলা তাদের ফিলিস্তিনের জনগণের সমর্থন থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।