প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:০১ PM
শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে ৫ ই আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সাথে বাংলাদেশে নতুন স্বাধীনতার সূচনা হয়েছে। দ্বিতীয় স্বাধীনতার এক মাস পার হয়ে গেছে। কিন্তু স্বাস্থ্যখাতে আওয়ামী আশীর্বাদপুষ্ট হাসিনার দুর্নীতিবাজ দালালেরা তারপরেও ঘুরে বেড়াচ্ছে বহাল তবিয়তে। ইতোমধ্যে তাদের অনেকে চেহারা পাল্টানো শুরু করেছে যাতে নতুন সরকার কে তাদের কুকর্মের ব্যাপারে ফাকি দিতে পারে। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডাঃ নেয়ামত হোসেন রিপন, সহযোগী অধ্যাপক, নিওনেটোলজি বিভাগ, যিনি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। ২৪ বিসিএস এর এই কর্মকর্তা নিজ জেলা দিনাজপুর এ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা হিসেবে একাধিক অনুমোদনহীন ক্লিনিক চালাতেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে যোগসাজশে বেসরকারি ক্লিনিক এ ছিল তার অবৈধ অর্থ উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। বিগত ১০ বছর তিনি তার কোন কর্মস্থলেই নিয়মিত যেতেন না। মেডিকেল কলেজে থাকাকালীন ছাত্রলিগের রাজনীতি তে সক্রিয় এবং পরবর্তিতে মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি তার কর্মজিবনে হেন কোন অপকর্ম নেই যা করেন নি। 
আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে তার স্ত্রী ফাতিমা-তুজ-জোহরা ঠাকুর কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে (উপসচিব(স্বাস্থ্য-৩ শাখা )পদায়ন করান। তদবির বানিজ্য, কমিশন নেওয়া সহ নানা অরকপম দুর্ণীতি আর অপকর্ম করে বেড়ানো এই ডাঃ নেয়ামত হোসেন রিপনের পাপের ভার এত বেশি হয় যে খোদ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা গ্রহণের জন্য ডিজি হেলথ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু ডাঃ নিয়ামতের হাত আরো লম্বা। তিনি তার আওয়ামী পরিচয় আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত তার স্ত্রীর সহায়তায় প্রভাব খাটিয়ে বিভাগীয় মামলার বিষয় টি বন্ধ করে দেন। বদলি করে দিবে এই এই ভয় দেখিয়ে অনেক ডাক্তার এর কাছ থেকে ডাঃ নেয়ামত চাদাবাজি করতেন। টাকা বা উপঢৌকন না দিলেই তাকে দুর্গম এলাকায় বদলি করে দেওয়ার হুমকি দেয়া হত বলে জানা গেছে। ডাঃ নেয়ামতের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশন এর টাকা তসরুফ করার ও অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন ইস্যুতে মামলা পরিচালনা করার জন্য যে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে ডাঃ নেয়ামত তার খরচের হিসেব দিতে পারছেন না বলে অনেক ডাক্তার অভিযোগ করেছে।
এদিকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগকৃত উপসচিব ফাতিমা-তুজ-জোহরা ঠাকুর আর ডাঃ নেয়ামত যেন সোনায় সোহাগা। আওয়ামী লীগ আমলে শত অপর্কম করেও এরা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। ফাতিমা-তুজ-জোহরা ঠাকুর এর বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভুত ভাবে স্বামীকে পদায়ন, ঘূষ বানিজ্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য তার স্বামীর ডাঃ নেয়ামতের সাথে শেয়ার করা যাতে সে ভয় দেখিয়ে চাদাবাজি করতে পারে এমন অভিযোগ সহ আরো নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা এসিল্যন্ড থাকা অবস্থায় ও ঘূষ নেয়ার অপরাধে মাঠ পর্যায় থেকে তুলে আনা হয়। ফাতিমা-তুজ-জোহরা ঠাকুর এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর একটি বিশেষ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।