প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:৫১ PM
জেলার রায়পরা উপজেলার বাঁশগাড়ীতে আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গুমের অভিযোগে সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) সাবেক এমপি রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু, নরসিংদীর সাবেক পুলিশ সুপার আমেনা বেগমসহ রায়পুরা থানা ও জেলা পুলিশের ৪৮ সদস্যসহ মোট ৬৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর, গুম হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমানের বড় ভাই সফিউল্লাহ বাদী হয়ে নরসিংদী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেন। নরসিংদী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার পিংকি অভিযোগটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে এফ আই আর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী রাকিব হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২০১৭ সালের ২৬ জুন দুপুরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি রূপ মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার ৭ বছর পার হলেও গুম হওয়া ৪ জন বাড়িতে ফিরেননি। ভুক্তভোগীদের পরিবার তাদের সন্ধান চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের লোকজন বাঁধা দেয় এবং হয়রানি করার অভিযোগ করা হয়। এছাড়াও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু ও তার ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ পার্থ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। এবিষয়ে জানতে নরসিংদী সিআইডির সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাহফুজা আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের হাতে এখনও মামলার কপি আসেনি। যদি আজকে মামলা দায়ের করা হয়, তাহলে ২-৩ দিন পর পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসবে।