প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৪৮ PM
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় ১৬৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩৫০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী অঞ্চল সদর আদালতে আল সবুজ ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এতে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাহ্ উদ্দিন টিপুকে প্রধান এবং লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুকে ২ নম্বর আসামি করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাদীর আইনজীবী মোসাদ্দেক হোসেন বাবর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলাটি বিচারক আমলে নিয়েছেন। এফআইআর দাখিলের জন্য আদালত সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী আল সবুজ ভূঁইয়া রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের বামনী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে। এদিকে আদালতের বিচারক আবু ইউছুফ মামলাটি আমলে নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এফআইআর দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যান্য আসামিরা হলেন- প্রধান আসামি টিপুর বড় ভাই আফতাব উদ্দিন বিপ্লব, ছোট ভাই শিবলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেবাব নেওয়াজ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন লিকা, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর খোকন বড় মিয়া, উত্তম দত্ত, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাহিমা আক্তারসহ ১৬৩ জন। এছাড়া ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা পিংকু ও বিপ্লবের হুকুমে টিপুর নেতৃত্বে অন্যান্যরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ গুলিবর্ষণ করে। এতে কয়েকজন ছাত্র জনতা মারা যান। ওই ঘটনায় মামলা বাদী সবুজ ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ হন। তার শরীরে ৪টি গুলি লেগেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসাধীন থাকা ও অভিযুক্তদের নাম ঠিকানা সংগ্রহে কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।