প্রকাশ: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:১৬ PM
নারীদের উন্নয়ন নিয়ে ভাবে, নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলে সমাজে মাথা উঁচু করে কথা বলতে কাজ করে, যে ফাউন্ডেশনের অবদান উল্লেখযোগ্য ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন নারী উন্নয়ন উদ্যোক্তা সংগঠন। এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের নারীদের নিয়ে নানা মুখী উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছে। কি করে তাদের কাজে লাগানো যায়, স্বাবলম্বি করা যায়, নারীদের জীবনে সচ্ছলতা আনা যায়। দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েও সংগঠনটি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলেছে।সে জন্য সংগঠনটি বিভিন্ন সময় ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ পেয়েছে অসংখ্য সম্মাননা। ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন নারী উন্নয়ন উদ্যোক্তার আয়োজনে শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকার মিরপুরে ফুড ভ্যালি রেস্টুরেন্টে হয়ে গেলো উদ্যোক্তাদের কথোপকথন ও মিনি মেলা। সে সময় উদ্যোক্তারা প্রায় ৩০টির ও বেশি বিভিন্ন পণ্যের স্টল তৈরি করে তাদের সৃষ্টিশীল খাবারের আইটেম সহ নানা আসবাবপত্র সুসজ্জিত করে সকলের মাঝে উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না সেরা ১০০ রেসিপির সম্পাদক,কুকিং এসেসর বিটিইবি,রন্ধনবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নাহার কুকিং ওয়ার্ল্ডের প্রধান নির্বাহী প্রশিক্ষক, নাহার নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন হাসিনা আনছার, এমোজ ডটকম ফ্যাশন সপ ও এম জে সপ এর স্বত্বাধিকারী সিরাজুম মনিরা মলি, আরদি হাউসের স্বত্বাধিকারী মহসিনা আক্তার দিতি,মিথীস কিচেনের স্বত্বাধিকারী মোহসিনা জাহান মিথী,এস এ ফুড ক্যাটারিংয়ের স্বত্বাধিকারী শাবানা আশরাফ,অংশীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং শিশুসাহিত্যিক শ্যামলী খান। আরও উপস্হিত ছিলেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি জনকল্যাণমুখী সংগঠনের ব্যক্তিবর্গসহ গন্যমান্য উদ্যোক্তারা।উদ্যোক্তাদের আগমনের ফলে সরগর হয়ে যায় ঢাকার মিরপুরে ফুড ভ্যালি রেস্টুরেন্ট এরিয়া।চারদিকে বিরাজ করেছে এক আনন্দগন মূহুর্ত।
এ আনন্দগন মূহুর্তে সভাপতিত্ব করেন ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন নারী উন্নয়ন উদ্যোক্তার চেয়ারপার্সন কুমকুম ফকির।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অত্র ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আসমা আজগর ও সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন পদ্মা উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান অপূর্ব।
সংগঠনের চেয়ারপার্সন কুমকুম ফকির বলেন,দেশের প্রায় ১১টি জেলার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।দেশের এ ক্লান্তিলগ্নে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো কে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করে।সেখানকার নারীরা যাতে আবার অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাড়াতে পারে তাদের জন্য আমাদের ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন নারী উন্নয়ন উদ্যোক্তা বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে,ইতিমধ্যে বাস্তবায়নে উদ্দেশ্যে একটি টিম পাঠানো হয়েছে।টিমের প্রতিবেদনের পরপর আমরা মাঠে কাজ করবো।আমাদের এ সংগঠনটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে পরিবেশ বোঝে সে সব অঞ্চলের নারী উদ্যোক্তাদের বুদ্ধি,পরামর্শ,প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কাজ শিখিয়ে একজন আত্মনির্ভরশীল সফল উদ্যোক্তায় রুপান্তর করতে কাজ করেছি।আপনারা এখানে যারা উপস্থিত সকলেই এক এক জন উদ্যোক্তা কেউ নতুন কেউ বা পুরানো।তবে এখানে আবার দেখতে পাচ্ছেন পুরোনো উদ্যোক্তাদের থেকে নতুন কয়েকজন উদ্যোক্তা এগিয়ে গেছে।এর একমাত্র কারন পুরনো উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সে সকল বিষয় বস্তুর উপর নজর রেখে দক্ষ হতে হয়।তারা তা জানেনা।নেই কোনো প্রশিক্ষণ,দক্ষতার অভাব,পরিচালনায় ভুল। তাই আমরা সব সময় নতুন ও পুরাতন উদ্যোক্তাদের ভিন্ন চোখে দেখি না।আপনাদের সকলের স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম।প্রতেকের মধ্যে নতুনত্ব এবং সৃজনশীলতার চর্চা ফুটে উঠেছে। আমি চাই আপনাদের আরো দক্ষ ভাবে গড়ে তুলতে।আমাদের ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন নারী উন্নয়ন উদ্যোক্তার মাধ্যমে একটি ফ্রি সেমিনার এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে। সেখানে আপনাদের প্রতেকে প্রতেকের ব্যবসার নিজ নিজ পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন,পরামর্শ পাবেন।সে সাথে আপনাদের আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে,সফল উদ্যোক্তায় রুপান্তর করতে দেশের প্রতিষ্ঠিত দক্ষ ট্রেইনারদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো।আশা করি এতে আপনাদের কল্যাণ হবে।আপনাদের সফলতাই আমাদের পাওয়া। ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন নারী উন্নয়ন উদ্যোক্তার চেয়ারপার্সন কুমকুম ফকির বলেন আমাদের এই অনুষ্ঠানটিকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য যারা পাশে থেকে আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমি ও আমাদের ফাউন্ডেশন চিরকৃতজ্ঞ। আমরা সব সময় বুদ্ধি পরামর্শের দেবার মাধ্যমে আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।