শনিবার ২১ জুন ২০২৫ ৭ আষাঢ় ১৪৩২
 
শিরোনাম:


বিদ্যুতের বকেয়া নিয়ে বাংলাদেশকে কঠোর বার্তা আদানির
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:৪৫ PM

বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুত বিক্রির বকেয়া বাবদ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) ডলার পাওনা রয়েছে আদানি পাওয়ারের। বকেয়া এ অর্থ পরিশোধের ব্যাপারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইকোনোমিকস টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে ।
এতে বলা হয়, ভারতের ঝাড়খণ্ডের ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের গড্ডা কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় বাবদ আদানির কাছে বাংলাদেশের বকেয়া ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি ডলার হয়েছে। এ পরিস্থিতিকে আদানি গোষ্ঠী ‘টেকসই নয়’ বলে অভিহিত করেছে। মূলত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিক্রির পাওনা বেড়ে চলার আদানির গোষ্ঠী থেকে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, আর্থিক চাপের সত্ত্বেও আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য সরবরাহ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং তাদের জানিয়েছি যে পরিস্থিতি আর টেকসই পর্যায়ে নেই। কারণ, আমরা একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছি, অন্যদিকে তেমনই আমাদের ঋণদাতা ও সরবরাহকারীদের কাছে দেয়া অঙ্গীকারও রয়েছে।

বিদ্যুৎ কেনা বাবদ এই বকেয়া মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে জানিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতা নেয়। আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনাসহ শেখ হাসিনার আমলে করা বিভিন্ন ব্যয়বহুল অবকাঠামো চুক্তির সমালোচনা করেছে নতুন সরকার।
তবে অর্থ পরিশোধের এই দায় বাংলাদেশের সার্বিক জ্বালানি সংকটেরই একটি অংশ। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত দায়ের পরিমাণ ৩৭০ কোটি ডলারে উঠেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, আদানি বাংলাদেশের কাছে ৮০ কোটি ডলার পায়, তার মধ্যে ৪৯ কোটি ২০ লাখ ডলার পরিশোধ বিলম্বিত হয়েছে। দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে অন্তর্বর্তী সরকার এখন বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ঋণদাতার কাছে অর্থসাহায্য চাইছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু একই সময়ে জ্বালানি–স্বল্পতায়ও ভুগছে। মূলত গ্যাসের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, সাবেক সরকারের নেওয়া খোলা দরপত্র ছাড়াই বিদ্যুৎ কেনার মতো পদক্ষেপ দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ও অদক্ষতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে।
আদানি অবশ্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে। তবে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র পুনরায় চালু করা এবং নিয়ন্ত্রণমূলক তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করতে ড. ইউনূসের প্রশাসন আগের করা জ্বালানি চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করার ইঙ্গিত দিয়েছে। এদিকে, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাংলাদেশ থেকে না সরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদানির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে আমাদের গড্ডা কেন্দ্র ভারতীয় বিদ্যুৎব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত নয়। তাই অন্য কোথাও এই বিদুৎ সরবরাহ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।







আরও খবর


 সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
অমিতাভ বচ্চন যে সিনেমার জন্য সুপারস্টার
ইসি স্বাধীন হলেও সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়: সিইসি
ফের এক ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের দাপট, হারাল চেলসিকে
ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
আরো খবর ⇒


 সর্বাধিক পঠিত

সালথার কাউন্সিল সম্মেলন কে সামনে রেখে প্রস্তুতি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
হাজারো প্রবাসীদের উপস্থিতিতে প্যারিসে উদ্‌যাপিত হলো বাংলার মেলা
সোনারগাঁয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চরম অব্যবস্থা, ডাম্পিং জোনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ছুটির দিনেও বিক্ষোভ
শেরপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com