প্রকাশ: শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৫৩ PM
জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে বিতর্কের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কোনো জায়গায় আমরা হাত দেব না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্বাচন দিয়ে আমরা চলে যাব।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বিভাগীয় ইসলামী ফাউন্ডেশনে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা হলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করা। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা। আমাদের ইকোনমি, দুই দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ এসেছে। আরও আসতেছে। এটাকে যদি আমরা একটু বাড়াতে পারি, আরও বেশি বাড়াতে পারি এবং যখনই নির্বাচন দেওয়ার পরিবেশ হবে তখনই নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজিয়ে একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত দলকে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা বিদায় নেব।
মাদরাসা ছাত্রদের প্রশংসা করে আ ফ ম খালিদ বলেন, জাতীয় উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে যুক্ত নয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টে যা প্রমাণিত। বরং তারা জাতীর দুর্দিনে সবার আগে এগিয়ে আসে। জাতীয় উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের এখন বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখতে হবে। এ সময় তিনি জানান, আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় প্রয়োজনে মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও পাহারা দেবে। মাজারে হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, মসজিদ, মন্দির এবং মাজারে হামলা গর্হিত কাজ। ধর্মীয় উপাসনায়ে যারা হামলা চালায় তারা মানবতার শত্রু। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য দেশে বিক্ষিপ্তভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ধর্মীয় উপাসনালয় হামলা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হজের খরচ কমানোর কথা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হজের সময় হাজিরা যে টাকা দেন, তার একটি পয়সাও আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে রাখি না। তাদের সঙ্গে আমরা ৮০ জন চিকিৎসক, আরও ২০-৩০ জন নার্স সঙ্গে রাখি। ফার্স্ট এইড চিকিৎসা দিই। সৌদিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এ খরচগুলো আমরা হাজিদের কাছ থেকে নিই না। হজের মূল যেটা খরচ- বিমান ভাড়া, সৌদি আরবে থাকা-খাওয়া এবং নিরাপত্তার জন্য সৌদি আরবকে একটা টাকা দিতে হয়। এ মাসেই সৌদি হজমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হবে। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি, তখন টাকা কমিয়ে জনগণের কাছে একটা গ্রহণযোগ্য প্যাকেজ ঘোষণা করতে চাই।