প্রকাশ: সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:১৭ PM
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহর পরে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন, ছাত্র-জনতাকে গণহত্যাসহ সকল অপকর্মের জন্য শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়েজন করে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন। জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এমন একটি নির্বাচন হোক, যে নির্বাচনে বাংলাদেশে হাসিনা যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, সেই ইতিহাস আর যেনো পুর্নজীবিত না হয়। সংবিধান রক্ষা করতে হবে, বাংলাদেশ রক্ষা করতে হবে৷ বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব আল্লাহর পরে ড. ইউনূসের।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও স্বপদে বহাল আছে। এদের পদচারণ বন্ধ করতে হবে। এরা আমাকে-আপনাকে অধিকার বঞ্চিত করেছে। এরা বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করার জন্য শেখ হাসিনা ও তার সহচরদের সহযোগিতা করেছে। এরা তারা, যারা বাংলাদেশের সংবিধান নষ্ট করেছে। এরা তারা, যাদের পক্ষে রায় হয়নি বলে হাইকোর্টের সামনে ময়লা ফেলেছে, এজলাসে লাথি মেরেছে। এরা তারা, যারা আমাদের ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে। এরা তারা, যারা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। এরা তারা, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরিকল্পিতভাবে তৈরি করে বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছে। এরা এখনও আপনাদের আশপাশে ঘুরছে। কেন বেনজির, আজিজকে আইনের আওতায় আনা হলো না প্রশ্ন করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পাশ্বর্বর্তী দেশে পালিয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, যদি বিচার বিভাগ চায়, তাহলে হাসিনাকে আনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আমরা যাওয়া-টাওয়া বুঝি না। একটাই বুঝি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচার করতেই হবে।
ড. ইউনূসকে সহযোগিতা করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে হবে। বাংলাদেশের সংস্কার করেন, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ আবার বাংলাদেশের রাজনীতি করে বাংলাদেশের সংবিধান, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে যাতে না দিতে পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে৷ এদের কাছে টাকা আছে, অস্ত্র আছে। এরা দুর্নীতিবাজ। আওয়ামী লীগের কাছে সবচেয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র আছে, এদের ধরে আনতে হবে। এই অস্ত্র যদি উদ্ধার করে আনতে না পারেন, তাহলে বাংলাদেশে আপনাদের পক্ষে নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যাবে।
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ. ক. ম মোজাম্মেল, বিলকিস ইসলাম প্রমুখ।