প্রকাশ: সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪, ১:২১ PM
সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী আজ সোমবার (২৬ আগস্ট)। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দিনটি পালন করছেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। হিন্দু পুরাণ মতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল।
তাদের বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের মাঝে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও ইসকনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
এদিকে, দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে এ বছর জন্মাষ্টমী উৎসবের ব্যয় কমিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। দুর্গত জেলাগুলোতে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা না করে সে অর্থ বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উৎসব সোমবার (২৬ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথম দিনে আজ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে সকাল ৮টায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ, দুপুর ২টায় জন্মাষ্টমীর কেন্দ্রীয় শোভাযাত্রা এবং রাতে শ্রীকৃষ্ণ পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরমধ্যে ঢাকেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন পলাশীর মোড়ে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
এ ছাড়া কর্মসূচির দ্বিতীয় ও শেষ দিনে আগামী শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৩টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘসহ (ইসকন) রাজধানীর অন্যান্য মন্দির, পূজামণ্ডপ ও ধর্মীয় সংগঠন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে।