প্রকাশ: শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪, ৫:৫৭ PM
বগুড়া জেলা পুলিশের সকল থানার দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এখন থানার বাহিরে টহল শুরু করা হয়নি। এছাড়াও ট্রাফিক এবং পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।
শনিবার (১০ আগস্ট) বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্র- জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করার পর থেকে জেলার সকল থানার পুলিশী কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কোনো কোনো থানার পুলিশ সদস্যগন নিরাপত্তার অভাবে পুলিশ লাইন্সে অবস্থান করেন। আন্দোলন চলাকালে বগুড়ার তিনটি থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে বগুড়া সদর থানায় গত ৫ আগস্ট বিকেলে হামলা করে অস্ত্র গোলাবারুদসহ মালামাল লুট করে অগ্নি সংযোগ করা হয়। থানায় হামলাকালে কোনো প্রাণহানী না হলেও হামলাকারীরা থানার দরজা জানালা পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। একই সময়ে থানা চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেলের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়াও বগুড়ার শেরপুর ও দুপচাঁচিয়া থানাতে হামলা করে ভাংচুর করা হয়।
জেলা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল থেকে ১২টি থানার দাপ্তরিক কাজ শুরু করা হয়েছে। সদর থানায় বসার মত কোন অবস্থা না থাকায় জেলা গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে থানার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রতিটি থানায় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতির পাশাপাশি আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।এছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে সহযোগিতা করছে।
এদিকে শনিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বগুড়া সদর থানা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে'র জিওসি, মেজর জেনারেল মো. খালেদ আল- মামুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জাকির হাসানসহ র্যাব, আনসার বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, বগুড়া জেলা পুলিশে শতভাগ উপস্থিতিতি রয়েছে। থানা গুলোতে জিডি ও মামলা গ্রহণ করা হচ্ছে। নিয়মিত টহল কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করা হবে। পাশাপাশি পরিস্থিতি বুঝে শহরের পুলিশ ফাঁড়ি ও ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু করা হবে।