প্রকাশ: রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪, ১:৫৯ PM
মুন্সিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
রোববার (৪ আগস্ট) সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাদাঁনে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
তিনি জানান, ঘটনাস্থলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, সকালে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছিলাম। সে সময় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বন্ধুদের মারধর শুরু করে। পরবর্তীতে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে মিছিল শুরু করি। মিছিলের মধ্য পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের ওপর গুলি করতে করতে হামলা চালায়। এতে আমাদের ৪০-৫০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কয়েকজন মারা গেছে বলে শুনেছি।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. আবু হেনা জামাল বলেন, আজ সকাল ১০টা থেকে ২৫ থেকে ৩০ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে দু’জন মৃত ছিল। তাদের বয়স ২২-২৫ বছর। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল ১০টার দিকে শহরের থানারপুল এলাকায় অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়। এরপর সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় বেশ কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করা হয়। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। এরপরই আন্দোলনকারীরা সেখানে পাল্টা হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলমান থাকে। এ সময় আন্দোলনকারীরা ৫/৬টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।