প্রকাশ: শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪, ৫:৩১ PM
বগুড়ায় কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে শেরপুরের ‘বাংলার রাজা’। ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর খামারি বলেন বাড়িতেই লালন পালন করছেন গত পাঁচ বছর ধরে। শেরপুরের বাংলার রাজা নামের গরুটির ওজন ১ হাজার ৫০০ কেজি।
শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামে আজিজুল ইসলাম শাওনের খামারে বড় হয়ে উঠছে ‘বাংলার রাজা’ নামের ষাঁড়টি। বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই লোকজন দেখতে আসছেন ‘বাংলার রাজা’ নামের ষাঁড়টিকে। বাংলার রাজার উচুঁ পুরো শরীরের চামড়ায় সাদা লোমের আবরণের মাঝে দু’একটা জায়গায় কালো ছোপ। ঘাড় আর দু’চোখসহ চোয়ালজুড়ে কালো লোমের ছোপ রয়েছে। দেড় টন ওজনের এই ষাঁড়টি হাঁক ছাড়লে যেন পুরো বাড়ি কেঁপে উঠে। ষাঁড়টির মালিক আজিজুল হক শাওন বলেন, এই ষাঁড়টি তাদের বাড়িতেই জন্ম নেয় পাঁচ বছর আগে। এরপর থেকে বাড়িতেই লালন পালন শুরু করেন।
শাওন বলেন, আমি শখ করে ষাঁড়টি পালন করেছি। এর আগেও প্রদর্শনীতে উঠিয়েছিলাম। তিনি বলেন, তার বাংলার রাজার যে ওজন এই ওজনের গরু রাজশাহী বিভাগের মধ্যে একটিও নেই। বিভিন্ন হাটে গিয়েছি, আমি নিজ চোখে এত বড় গরু এর আগে কখনও দেখিনি।
এ কারণে ষাঁড়টির দাম চাওয়া হচ্ছে ৩৫ লাখ টাকা। তবে এখনও কোনো হাটে তোলা হয়নি। বাড়িতে যারা আসছেন তারা শুধু দেখে যাচ্ছেন। কেউ দাম বলেননি।
শাওন বলেন, প্রতিদিন ষাঁড়টির পেছনে ১০০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা খরচ হয়। গরুকে ভূষি, খৈল, খড়, ধানের কুড়া, কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হয়। গরুর নাম ‘বাংলার রাজা’ কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে সেরা গরু হবে এজন্য ‘বাংলার রাজা’ রাজা নাম রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩৫ লাখ টাকা আমাদের চাওয়া দাম। ক্রেতারা তো দাম দর করেই নেবে। আপাতত খামার থেকেই বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি বিক্রি না হয় তাহলে ঈদের ৫ দিন আগে ঢাকার হাটে উঠাব। ষাঁড়টিকে দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ভিড় করছে শাওনের বাড়িতে।