প্রকাশ: সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:৫৭ PM
রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে কয়েক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে নিউ মার্কেটে মিরপুর রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা জিম্মি হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ছুটে আসে। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ তুলে নেন। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের রমনা বিভাগের ধানমন্ডির জোনের এসি শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান। গণমাধ্যমকে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীরা কলেজটির অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিল। অবশেষে কলেজ প্রশাসনের অনুরোধে তারা অবরোধ তুলে নিয়েছে। তাদের পদত্যাগের বিষয়টি তারা জানাবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছে। এরপর থেকে ক্যাম্পাস ছেড়ে শিক্ষার্থীরা চলে যেতে শুরু করে। এখন সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ নিয়ামুল হক এবং উপাধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমান বিধি বহির্ভূতভাবে কলেজে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তারা এই দুই পদে বসার পর থেকে ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য কলেজকে ব্যবহার করছেন। সেজন্য শিক্ষার্থীরা চরমভাবে বিরক্ত। ফলে তাদের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নামেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সিটি কলেজ এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। নামে বেনামে বিভিন্ন ফান্ড খুলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। যার প্রতিবাদ করলেই শিক্ষার্থীদের চাপ সৃষ্টি করা হয়। কলেজ প্রশাসন বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এসব টাকা হাতিয়ে নেন। যার মূলে রয়েছেন অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তারা দুটি গেট বন্ধ করে রেখে স্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনী। তবে এর আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা (পুলিশ) ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ধানমন্ডি ও সাইন্সল্যাবের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানজট লাগে। উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন শতশত মানুষ। তবে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে খোঁজ খবর নিয়ে জেনে গেছে, এখন যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।