প্রকাশ: রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:০৮ PM
মূল্যস্ফীতি কমাতে দফায় দফায় নীতি সুদহার বাড়ানোর ফলে দেশে সংকুচিত হচ্ছে ব্যবসার পরিধি। ব্যবসায়ীদের এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার পেছনে দায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আকাশচুম্বী সুদের চাপে পড়েছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। অন্যদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নীতি সুদহার বাড়িয়ে আপৎকালীন সংকট সামাল দেওয়া সম্ভব হলেও দীর্ঘমেয়াদে বুমেরাং হয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে অর্থনীতিতে। মূল্যস্ফীতি কমাতে এক মাসের ব্যবধানে দুই দফায় নীতি সুদহার বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমে ৯ শতাংশ এবং পরে আরো ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
মূল্যস্ফীতি কমাতে এক মাসের ব্যবধানে দুই দফায় নীতি সুদহার বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমে ৯ শতাংশ এবং পরে আরো ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাংক ঋণের সুদ বেড়ে হয়েছে ১৫ শতাংশের বেশি। এতে একদিকে বেড়েছে ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ, অন্যদিকে সংকুচিত হচ্ছে ব্যবসার পরিধি। সুদহার বাড়িয়ে ও মুদ্রা সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি সামালের যে পদক্ষেপ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছে, তা আপতত কার্যকরী হলেও দীর্ঘমেয়াদে আত্মঘাতী বলে মত সংশ্লিষ্টদের। সামনে সুদহার আরো বাড়ানো হলে বিনিয়োগ কমার পাশাপাশি কর্মসংস্থানেও সংকট দেখা দেওয়ার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাংক ঋণের সুদ বেড়ে হয়েছে ১৫ শতাংশের বেশি। এতে একদিকে বেড়েছে ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ, অন্যদিকে সংকুচিত হচ্ছে ব্যবসার পরিধি।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) সভাপতি হুমায়ূন রশিদ বলেন, সুদহার বেড়ে গেলে দ্রব্যমূল্যও বেড়ে যাবে। ভোক্তা পর্যায়ে মানুষের সহনশীলতা থাকবে না। এতে বিনিয়োগও কমে যাবে। এরই মধ্যে দৈনন্দিন জীবনের নানা ক্ষেত্রে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, সুদহার বৃদ্ধির বিষয়টি বেশিদিন চললে বিনিয়োগ কমে আসবে। কিছু কিছু ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসার ধরনই পাল্টে ফেলবেন। কারণ ঐ ব্যবসা চালানোর মতো মূলধনই থাকবে না। এতে কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ব্যবসার পরিসর ছোট করে আনতে হবে। চাকরির জায়গা কমে যাবে। নতুন চাকরির সুযোগও তৈরি হবে না।
সুদহার বাড়িয়ে ও মুদ্রা সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি সামালের যে পদক্ষেপ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছে, তা আপতত কার্যকরী হলেও দীর্ঘমেয়াদে আত্মঘাতী বলে মত সংশ্লিষ্টদের। সামনে সুদহার আরো বাড়ানো হলে বিনিয়োগ কমার পাশাপাশি কর্মসংস্থানেও সংকট দেখা দেওয়ার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ হেলাল উদ্দিন বলেন, সুদহার অনেক বেড়ে গেলে ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ বেড়ে যাবে। কারণ সুদহারের প্রভাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে উৎপাদনের খরচ বাড়িয়ে দেবে, আমদানির খরচ বাড়িয়ে দেবে। মূল্যস্ফীতি সামাল দেওয়ার একমাত্র অস্ত্র হিসেবে সুদহার বাড়ানোর দীর্ঘমেয়াদি নীতি দেশের ব্যবসা খাতে বুমেরাং হয়ে আঘাত আনতে পারে।