প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩২ PM
ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে তিন জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও আটজন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে তীব্র তাপদাহের পর বৃষ্টি শুরু হলে হঠাৎ বজ্রপাতের ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২ নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও একই সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নিহত হন ১ জন ও আহত হন ৫ জন।
সদর উপজেলার নিহতরা হলেন - শুখানপুকুরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন (১৭) ও একই এলাকার দুলালের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৯)। আহতরা হলেন - লাউথুতি গ্রামের বরকত আলীর স্ত্রী রিনা বেগম (৩৮), হাফিজুল ইসলামের ছেলে ফারুক (২২) ও একই ইউনিয়নের ইউসুফ আলীর ছেলে ফরিদ (১৫)। তারা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা। তাদেরকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান (২৩) নিহত হয়েছেন।
আহত পাঁচ জন হলেন- বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের সবুজের ছেলে ফয়সাল (৮), আমজানখোর ইউনিয়নের কালীবাড়ী গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে রুমান (৭) ও মনিরুলের ছেলে সাকিবুল হাসান (১০), ১৩ বছর বয়সী কিশোর রানা, উদয়পুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা (৪৫) বেগম। তারা সকলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। সদর উপজেলায় বজ্রপাতে নিহতের বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেন শুখানপুকুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান। স্থানীয়রা জানান, ৫ জন বন্ধু মিলে লাউথুতি গ্রামে বাড়ির পাশে ভূল্লী নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনা স্থলে মনির হোসেন ও আরিফুল ইসলাম মারা যান। এছাড়াও এসময় রিনা বেগম তার ছেলেকে খুঁজতে গেলে তিনি সহ আরও দুই জন, মোট তিনজন আহত হন।
এছাড়া জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গীতে বাড়ির বাহিরে আতাউরসহ ৫-৬ জন মিলে বসে ছিল। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে আতাউর, রুমান, রানা, সাকিবুল, ফয়সাল আহত হয়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে নেওয়ার পথেই আতাউরের মৃত্যু হয়। অপরদিকে উদয়পুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা (৪৫) বেগম মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হন। আহত সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. রকিবুল আলম চয়ন ঢাকা মেইলকে বলেন, বালিয়াডাঙ্গীতে বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তি হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। এছাড়াও সদর উপজেলায় বজ্রপাতে আহত তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের অবস্থা বর্তমানে ভালো আছে।