প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৫৯ PM
অনুমোদিত মিউটেশনের খতিয়ানগুলো ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মৌজা অনুযায়ী সুবিন্যাস্তভাবে সাজিয়ে তা সূচিপত্র তৈরি শেষে ভলিউম আকারে করার মাধ্যমে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ভূমি অফিসে বেড়েছে সেবার মান। অল্প সময়ে নিয়ম অনুযায়ী সমস্যার সমাধানগুলো করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সুবিধাভোগীরা।
ত্রিশাল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমানের একান্ত প্রচেষ্টায় উপজেলার ইউনিয়নের ভূমি অফিসগুলোতে জনসাধারণের জনদুর্ভোগ রোধ করে জনবান্ধব অফিসে পরিণত হয়েছে। সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলোর সঠিক বাস্তবায়নের ফলে ত্রিশাল ভূমি অফিসে অতীতের চেয়েও বেশি করে বৃদ্ধি হয়েছে ভূমি সেবার মান। এ ছাড়াও অনুমোদিত মিউটেশন খতিয়ানগুলো ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মৌজা অনুযায়ী সুবিন্যাস্তভাবে সাজিয়ে তা সূচিপত্র তৈরি শেষে ভলিউম আকারে করা হয়েছে। আবার কম্পিউটারে স্ক্যান করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে যেকোনো নাগরিক জমির খতিয়ান যাচাই-বাছাই করতে পারবেন কিংবা জমি ক্রয়-বিক্রয়ের পূর্বে স্বত্ব যাচাই করতে চাইলে খতিয়ান বা নামজারি কেস নম্বর দিয়ে অতি সহজে করতে পারবেন।
উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমির হস্তক্ষেপে ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে এখন আগের মতো অপ্রয়োজনীয় জনগণের ভিড় দেখা যায় না। নেই কোনো বস্তাবন্দি ফাইল। দালালের দৌরাত্ব আর এখন চোখে পড়ে না ত্রিশাল উপজেলা বা ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে। সরেজমিন জানা গেছে, অফিসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনতে কৌশলী ভূমিকায় কাজ করতে হয়েছে। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে অপেক্ষমান কাজ শেষ করে এ স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং দৃশ্যমান। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমানের দক্ষতা, সততা ও কর্মনিষ্ঠার কথা শোনা গেছে। বিগত সময়ে অফিসের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমানের কর্মতৎপরতা ও সৃজনশীলতার বিষয়টি মানুষের মুখে মুখে ফুটে উঠেছে। প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থাপনা ও নামজারিসহ অন্য সেবা এখন সেবাপ্রত্যাশিরা খুব অল্প সময়েই পেয়ে যাচ্ছেন প্রত্যাশিতসেবা। যেখানে একটা নামজারি করতে একটা সময় অনেক টাকা দিতে হতো বিভিন্ন মাধ্যমকে সেখানে বর্তমানে নির্ধারিত সরকারি ফি দিয়েই নামজারি করে দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে ই-নামজারি সিস্টেমের মাধ্যমে জনগণ ঘরে বসেই নামজারির আবেদন করতে পারছেন। যা বর্তমান সহজেই যাচাই করতে পারবেন। এ ছাড়া আবেদনের সময় সংযুক্ত কোর্ট ফি জালিয়াতি রোধে সহকারী সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কর্মতৎপরতা উল্লেখযোগ্য। অফিসের সামনেই টানানো হয়েছে সিটিজেন চার্টার। এর মাধ্যমে ভূমি অফিসের যেকোনো নিয়ম- কানুন, খাজনা খারিজ, পর্চা, রেকর্ড সংশোধন, জমি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেয়া আছে। ফলে সেবাগ্রহিতাদের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে। সেবাগ্রহিতাদের বসার জন্য তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন গোলঘর। অফিসের সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
বিভিন্ন আবেদনের তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করতে অফিসে একটি ফ্রন্টডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান বলেন, যোগদানের পর থেকে ভূমি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন সংক্রান্ত গৃহিত কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। সরকার হচ্ছে জনগণের সেবক এবং আমরা সরকারের অংশ হিসেবে জনগণের ভূমিসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। যদি ভূমি সেবা নিতে গিয়ে কেউ কখনো কারও মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয় তবে সরাসরি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে অবহিত করার জন্য সেবা প্রত্যাশীদের প্রতি আহবান জানান মাহবুবুর রহমান।