প্রকাশ: রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:৫৭ PM
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে মারা গেছেন ৯২ জন মানুষ। গত বছর একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬৯১ জন। এ হিসাবে গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গুতে এবার ৫৯৯ জন কম মারা গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যাও কম এ বছর। এক লাখ ৪০ হাজার ৭১১ জন বিপরীতে এ বছর আক্রান্ত ১৪ হাজার ৮০৪ জন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) মশাবাহিত রোগ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এ সময় ডেঙ্গুর সংক্রমন রোধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৬৩ জন। এ সময়ে ঢাকা মহানগরের বাইরে সারাদেশে মারা গেছেন ২৯ জন। গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ঢাকা মহানগরে ৪৯৭ জন মারা যান। দেশের অন্যান্য স্থানে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৯৪ জন। গত বছর এ সময়ে ডেঙ্গুতে মোট মারা যান ৬৯১ জন।
বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা বলেন, প্রথম দিকে ডেঙ্গু নিয়ে দেশে একটা দিশেহারা ভাব ছিল। তবে আমরা ক্রমান্বয়ে একটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছি। আমাদের অর্জন তখনই হবে, যখন একটি মৃত্যুও হবে না। এখনও আমরা সে পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। এটা নিয়ে আমাদের আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হবে একজনেরও যাতে মৃত্যু না ঘটে। প্রতিরোধে জোর দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ রোগের প্রতিরোধই কাজ করে ৯০ শতাংশ, আর ১০ শতাংশ হচ্ছে চিকিৎসা। চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা একটা ভালো পর্যায়ে আছি। তবে সচেতনতার জায়গায় আমরা বেশ পিছিয়ে আছি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারা বছর একটা কর্মসূচি নেওয়ার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। মশার প্রজননটা যাতে না হয়, গবেষণা করে এমন কোনো ওষুধ বা কিছু বের করা যায় কি না, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।