প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪, ২:৩১ PM
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কোটা বাতিলের আন্দোলন চলছে। পাশাপাশি পেনশনের বিষয়ে শিক্ষকরা একটা আন্দোলন ও কর্মসূচি পালন করছেন। এই দুটি কর্মসূচিকে আমরা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন। আপনাদের আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বসার কথা ছিল, সেটা কবে বসবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে বসব আমরা কি বলেছি? পরে সাংবাদিকরা শিক্ষকরা বলেছেন এমন উত্তর দিলে তিনি বলেন, এখন তারা কি বললো সেটা তো আমাদের দেখার বিষয় নয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদেরও তো অসুবিধার বিষয় থাকতে পারে। আমরা তাদের প্রতি কোনো প্রকার অসম্মান করছি না। আমরা তাদের আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো এর সমাধান হয়ে যাবে, এটাই আমরা আশা করি। আওয়ামী লীগ কি সরকারের পক্ষে নাকি আদালতের পক্ষে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার সরকারের পক্ষে, আওয়ামী লীগও সরকারের পক্ষে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। পাশাপাশি পেনশনের বিষয়ে শিক্ষক সমাজেরও আন্দোলন, কর্মবিরতি চলছে। এই দুটি কর্মসূচি চলমান অবস্থায় আমরা খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যতটুকু জানি, কোটা সংস্কার বিরোধী যে আন্দোলন শিক্ষার্থীরা করছে তাদের আজকে নির্ধারত কর্মসূচি নেই, সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, এমনও শুনেছি, তারা উচ্চ আদালতে যে মামলা তাদের পক্ষ থেকে ল' ইয়ার নিয়োগ করেছেন এবং তারা আদালতে যথাসময়ে হাজির হবেন। এটা একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত সেজন্য ধন্যবাদ জানাই।
আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী পরিপত্র জারি করে কোটামুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এতদিন সরকারি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৭ জন একটা মামলা করেন। হাইকোর্ট একটা রায় দেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ আপিল বিভাগে এ নিয়ম অনুযায়ী আপিল হয়েছে। ফুল কোর্টে আমারা আশা করছি শিগগিরই শুনানি হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, শোকের মাস আগস্ট আবারো আসছে। ১ আগস্ট থেকে আমাদের মাসব্যাপী কর্মসূচি রয়েছে। ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে এই মাসের কর্মসূচি পালনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। ঢাকায় যারা কর্মসূচি নেবেন তারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে করবেন।