প্রকাশ: রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪, ৫:০৯ PM
রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) থেকে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে তা ডাবল কাউন্ট (দুবার গণনা করা বা দুবার যোগ করা) করায় তথ্যে গরমিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি), বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সালমান এফ রহমান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাজই হচ্ছে, যারা বেশি রাজস্ব দেয় তাদের ওপর আরও ট্যাক্সের বোঝা চাপানো। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এনবিআরকে ডিজিটালাইজড করা গেলে এ প্রবণতা কমবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ইপিবির সমন্বয়েরও অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইপিজেড থেকে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) তা ডাবল গণণা করায় রপ্তানি আয়ের তথ্যে গরমিল হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার (৩ জুলাই) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতেই ইপিবির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে করে আসা রপ্তানি আয় ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগ পরিষ্কার হয়েছে। এনবিআরের সংশোধিত পদ্ধতিতে গেলো অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণের তথ্যে এর প্রমাণ মেলে। প্রকৃতপক্ষে দেশে রপ্তানি কমলেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখিয়ে আসছিল ইপিবি। এনবিআরের হালনাগাদ তথ্যে এমন বিপরীতমুখী চিত্র ওঠে এসেছে। সংশোধিত পদ্ধতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবিতে পাঠিয়েছে এনবিআর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য জাহাজীকরণ করা হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৬.৮০ শতাংশ কম। ইপিবি বলছে, এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলারের পণ্য। পণ্য জাহাজীকরণেই পার্থক্য দেখা যাচ্ছে ১৩.৮০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে, ২০২২-২৩ অর্থবছরেরও জুলাই-এপ্রিল সময়ে ৪ হাজার ৫৬৮ কোটি ডলার রপ্তানি দেখিয়েছিল ইপিবি। সংশোধিত তথ্য অনুযায়ী, পণ্য জাহাজীকরণ হয় মাত্র ৩ হাজার ৬১৪ কোটি ডলার। ইপিবির সঙ্গে হালনাগাদ তথ্যের পার্থক্য ছিল ৯৫৪ কোটি ডলার।